ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
দাসপুর-২এর বিডিও অনির্বাণ সাহু বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। স্কুলপড়ুয়াদের একটি আবেদনপত্র আমাদের কাছে জমা দিতে বলেছি। আমরা সেই আবেদনপত্রটি নিয়ে শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কথা বলব। ওই স্কুলের টিআইসির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। স্কুলের সহকারী শিক্ষক শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, পড়ুয়াদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। আমরাও তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত করতে এর আগে আমরাও জেলাশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।
দাসপুর-২ ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার ওই স্কুলটির জন্ম ১৯৫৯সালে। ওই স্কুল থেকে নিকটবর্তী উচ্চমাধ্যমিক স্কুল বলতে একদিকে সোনাখালি হাই স্কুল এবং অন্যদিকে আরিট হাই স্কুল। দু’টি স্কুলের দূরত্ব কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার। স্কুলের পড়ুয়ারা বলে, আমাদের দাদা-দিদিদের ওই দূরবর্তী স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই মাধ্যমিক পাশ করার পরই এখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে চাই। সেই দাবি নিয়ে আমরা এদিন স্কুলগেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাই। এছাড়াও ওই স্কুলে যে সমস্ত শিক্ষক অবসর গ্রহণ করেছেন, তাঁদের শূন্যপদে কোনও নিয়োগ হয়নি। তার জন্যও স্কুলে পঠন-পাঠনের সমস্যা হচ্ছে। পড়ুয়ারা বলে, এদিনের আন্দোলনে শূন্যপদ পূরণের দাবিও ছিল।
এদিন স্কুলের গেটে কচিকাঁচা পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে স্কুলের প্রথম পিরিওড পর্যন্ত শিক্ষকরা প্রবেশ করতে পারেননি। শঙ্করবাবু বলেন, সমস্ত বিষয়টি পড়ুয়াদের বোঝাতে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়। দ্বিতীয় পিরিওড থেকে স্কুলে পঠন-পাঠন স্বাভাবিক হয়।