ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
বীরভূম জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিকভাবে তরুণীর মৃতদেহ দেখে মনে হয়েছে তাঁকে খুন করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে মহারানি তাঁর মায়ের সঙ্গে বিছানায় শুয়েছিলেন। ভোরবেলা থেকে আর বিছানায় তাঁকে দেখা যায়নি। তারপরই খোঁজখবর শুরু হয়। ওই গ্রামের প্রান্তে তাঁদেরই আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। সেখানে মহারানির মৃতদেহ স্থানীয় এক মহিলা দেখতে পান। পরে বাড়িতে খবর দেওয়া হলে মহারানির মা মৃতদেহ দেখেন।
তরুণীর মা সুন্দরী মুর্মু বলেন, শনিবার রাতে সে বাড়িতে রান্না করেছিল। রাতে একসঙ্গেই শুয়েছিলাম। ভোরবেলায় ঘুম ভাঙতে দেখি আমার পাশে নেই। প্রথমে ভেবেছিলাম প্রাতঃকৃত্য সারতে গিয়েছে। কিন্তু, দীর্ঘ সময় পর্যন্ত না আসায় সন্দেহ হয়। তারপরই খোঁজাখুঁজি শুরু করি। তাঁর দাবি, নির্মীয়মাণ বাড়িতে মেয়ের মৃতদেহ দেখে চমকে উঠেছিলাম। তাঁর পরনের লেগিন্স গলায় জড়ানো ছিল। এছাড়া লেগিন্স দিয়ে দু’টি ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ছিল। উপুড় হয়ে নিথর দেহ পড়েছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহরানিরা দুই বোন ও দুই ভাই। কিছু দূর পড়াশোনা করার পর মহারানি সংসারের কাজ করতেন। পাশাপাশি দিনমজুরের কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই মহারাজ মুর্মু এলাকায় ভালো ফুটবলার বলে পরিচিত রয়েছেন। ওইদিন তিনি ফুটবল খেলতে বাইরে গিয়েছিলেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হলে সেখানে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মৃতার ভাই বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ফুটবল খেলে বাড়ি ফিরেছি। তখন দিদি বাড়িতে মায়ের পাশেই ঘুমাচ্ছিল। ভোরে উঠেও দিদিকে দেখেছিলাম। পরে ছোটনাগপুরে পুজো দিতে যাওয়ার জন্য কেনাকাটা করতে বাজারে গিয়েছিলাম। সেই সময় গ্রামের বাসিন্দার কাছ থেকে দিদির খবর পাই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামে এধরনের ঘটনা আগে হয়নি। হঠাৎ ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় বাসিন্দারা খুনের অনুমান করছেন। তবে, কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা কিছু বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে, শরীরের কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে।