বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পাশাপাশি সোমবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটের বৈঠকে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মূল সংগঠনেও চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন করা হয়েছে। চেয়ামম্যান থাকা অরূপ খাঁয়ের পরিবর্তে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন জেলা যুব নেতা শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর জেলার কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী জেলা যুব সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্য থেকে মূল সংগঠনের মতোই যুব সংগঠনকে দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করার নির্দেশ এসেছিল। নির্দেশ মেনে বাঁকুড়া জেলার যুব সংগঠনকে লোকসভা ভিত্তিক দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ৩১আগস্ট কোর কমিটির বৈঠক থেকে দুই সাংগঠনিক জেলায় সভাপতিদের নাম ঠিক করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মূল সংগঠনের মতোই দুই সাংগঠনিক জেলায় দ্রুত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, সোমবার রাজ্য কোর কমিটির বৈঠকে দলনেত্রী আমাদের সাংগঠনিক জেলায় একটি পরিবর্তন এনেছেন। দলের বিষ্ণুপুর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর জায়গায় শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নিচু তলার সংগঠন আরও মজবুত করার ব্যাপারে জোর দিয়েছি। এছাড়া জনসংযোগের জন্য নানা কর্মসূচিও চলছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত দলের মূল সংগঠন ও শাখা সংগঠনগুলিতে একজন জেলা সভাপতি ছিলেন। তিনিই গোটা জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন। জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১০টি এবং অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের দখলে থাকলেও লোকসভা নির্বাচনে জেলার তিন পুরসভা সহ ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। তারপরেই বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ খাঁকে সরিয়ে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি ব্লক সভাপতি ছাড়া জেলার সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।
বাঁকুড়া জেলাকে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা ভিত্তিক দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করে দেওয়া হয়। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হন শুভাশিস বটব্যাল ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। দুই জেলা সভাপতিকে রাজ্যের তরফের জনসংযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের উপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁদের সাহায্য করার জন্য জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু আধিকারী ওন্দার জনসভায় এসে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান হিসেবে অরূপ খাঁ এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় জয়ন্ত মিত্রকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারপর দিন ১৫ পার হতে না হতেই অরূপবাবুকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের একাংশের মতে, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পরেও অরূপবাবুকে সেভাবে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। তাই এই রদবদল।
অন্যদিকে, এবার নবগঠিত জেলা যুব সভাপতিরাও বিভিন্ন এলাকাগ গিয়ে জনসংযোগের কাজ করবেন। দলের দেওয়া দায়িত্ব প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি রাজীব ঘোষাল বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে আমি কয়েক মাস গোটা জেলার যুব সংগঠনের দায়িত্ব সামলেছি। দল দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও আমি নিজের মতো করে বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন জনসংযোগের কাজ করেছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর আরও ভালো করে সেই কাজ করার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব পাওয়া রাজকুমার সিং বলেন, যুবরাই সংগঠনের অন্যতম হাতিয়ার। সংগঠনকে মজবুত করার জন্য জেলা নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।