হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
উল্লেখ্য, বোলপুরের শিবপুর মৌজায় বাম আমলে শিল্পের জন্য ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সেখানে শিল্পের কথা বললেও বর্তমানে সেই অধিকৃত জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসন তৈরি হচ্ছে। শিল্পের জন্য অধিকৃত জমিতে শিল্প না হওয়ায় বেঁকে বসেন জমিদাতা কৃষকরা। শিল্প না হলে জমি ফেরতের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন তাঁরা। শনিবার বিকেলে সাবিরগঞ্জ গ্রামে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার দিদিকে বলো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। সেই খবর জানতে পেরে অনিচ্ছুক জমিদাতা কৃষকরা কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। চাষিদের বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে গ্রামের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়েন মন্ত্রী। সেই খবর জানতে পেরে বোলপুর থেকে বিশাল পুলিসবাহিনী এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। যার জেরে পুলিসের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন কৃষকরা। পুলিস জসিমুদ্দিন নামে এক জমিদাতাকে আটক করলে বাকিরাও এগিয়ে এসে তাদের আটক করার দাবি জানান। ১০ জন বিক্ষোভকারী চাষিকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করে বোলপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। পরে গ্রামে গিয়ে সভা করেন মন্ত্রী। সভা থেকেই দিদিকে বলো উদ্যোগের মধ্য দিয়ে জনসংযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। গ্রামের মানুষজনের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন মন্ত্রী। তাঁর সামনেই এলাকায় কোনও উন্নয়নই হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় এক যুবক। বিক্ষোভের জেরে গ্রামে রাত্রিবাসের কর্মসূচি বাতিল করেন মন্ত্রী।
শিবপুর জমি হারা কৃষক সংগ্রাম মঞ্চের আহ্বায়ক তপন সাহা বলেন, জমি অধিগ্রহণের সময় বলা হয়েছিল সেখানে শিল্প হবে। বর্তমান শাসকদলও প্রথমে শিল্পের কথা বললেও পরে আবাসনপ্রকল্প শুরু করে। সেই সব প্রতারিত জমিদাতা কৃষকরা এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। তৃণমূল নিজেই দিদিকে বলো, মন্ত্রীকে বলো প্রচার করছে। কিন্তু, কিছু বলতে গেলেই গ্রেপ্তার করে নিচ্ছে। তাই আমাদের দাবি, চাষিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
এবিষয়ে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, কিছু মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা উন্নয়নের সঙ্গে নেই, তাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পুলিস তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।