হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
শুক্রবার বিকেলে নিজের বিধানসভা এলাকার আম্ভুয়া গ্রামে অভাব-অভিযোগ শুনতে আসেন মুরারই বিধায়ক আব্দুর রহমান। সেখানে গ্রামের মানুষের হয়ে অভাব অভিযোগ জানান প্রাক্তন শিক্ষক আবসার কাজি। পাথুরে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা, নিকাশি অব্যবস্থা, কালভার্ট, ডিজিটাল রেশন কার্ড সহ একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন তিনি। সেগুলি সমাধানের আশ্বাস দেন বিধায়ক। সঙ্গে ছিলেন মুরারই-১ ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাবলু ভকত প্রমুখ। পরে বিধায়ক আসেন রাজগ্রাম স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে। নার্সরা সেখানে যেমন হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানান, তেমনি ভগ্নপ্রায় কোয়ার্টার সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকমাস আগে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান বিধায়ক। যদিও এদিন বিধায়ক বলেন, সেই টাকা এখনও মেলেনি। তিনি গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিকাঠামোর উন্নয়নের ব্যাপারে গণদরখাস্ত করার কথা বলেন। পরে সেই দরখাস্ত নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরবেন বলে জানান। রাত কাটান দরিদ্র পান্না মিঞা নামে এক কর্মীর মাটির বাড়িতে।
অন্যদিকে, শনিবার সকালে লোহাপুর ও বারা গ্রামে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে আসেন রামপুরহাট-২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়। এই গ্রামগুলি হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। কিন্তু, কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে। ফলে, দলীয় বিধায়ক না থাকায় সুপ্রিমোর নির্দেশে তিনিই জনসংযোগ সারেন। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। এদিন রাজ্য থেকে পাঠানো নামের তালিকা অনুযায়ী চারজনের বাড়ি যান সুকুমারবাবু। এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় সমস্যার পাশাপাশি ব্রাহ্মণী নদীর দেবগ্রাম ঘাটের উপর ব্রিজ ও লোহাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবি জানান। সুকুমারবাবু বলেন, মানুষের প্রধান দু’টি চাহিদা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।