কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিক বরাদ্দ হওয়া টাকায় দোকানঘর তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। তাই পরিবহণমন্ত্রীর কাছে আরও টাকা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। এদিন মন্ত্রী অতিরিক্ত ৭০লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। আমরাও পুরসভা থেকে ৩৭ লক্ষ টাকা দেব। সব মিলিয়ে দোকানঘর তৈরির কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে। পুজোর আগেই ব্যবসায়ীদের হাতে দোকানঘরের চাবি তুলে দেওয়া হবে।
রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বরুণ দে বলেন, এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে আমাদেরকে ডাকা হয়নি। তাই সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে জানি না। তবে আমাদের দাবি ১৩৮ জন ব্যবসায়ীর নামের যে তালিকা আগে থেকেই মঞ্জুর করা হয়েছে, তাঁদের সবাইকে যেন দোকানঘর দেওয়া হয়। তাছাড়া নির্মীয়মাণ বেশ কিছু দোকানঘরের আয়তন খুবই ছোট। সেটাও পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
শুভেন্দুবাবু এদিন দোকানদারদের তালিকা সম্পর্কে বলেন, অন্ততপক্ষে চালাঘর করে ব্যবসা করতেন। এমন ব্যবসায়ী ছাড়াও স্থায়ী দোকানদারদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তালিকা তৈরির বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং মহকুমা শাসক পুরনো ভিডিও ফুটেজ দেখে আলোচনার পর তা চূড়ান্ত করবেন।
উল্লেখ্য, রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড দু’বছর আগে নির্মাণ কাজের সময় শতাধিক দোকানদার উচ্ছেদ হন। সেসময় তাঁদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এবং বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধনের সময়েই দোকানঘরের চাবি ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু উদ্বোধনের পর এক বছর কেটে গেলেও দোকানঘরের নির্মাণকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। টাকার অভাবে নির্মাণ কাজ থমকে যায়। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীদের একাংশ ধৈর্য্য হারিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন। এমনকী অবিলম্বে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করার দাবিতে তাঁরা আন্দোলনেও নামেন। কয়েকদিন আগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার পরের দিন খোদ জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস নিজে সরেজমিনে তদন্তে আসেন। তিনি ব্যবসায়ী ও পুরসভা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। তবে ওইদিন বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হলেও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার বিষ্ণুপুরে ফরেস্ট রেস্ট হাউসে এবিষয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে পরিবহণমন্ত্রী যোগ দেন। বিস্তারিত আলোচনার পর দ্রুত নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করার জন্য তিনি অতিরিক্ত অর্থ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।