কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ৬-৮আগস্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে দীঘা উপকূলজুড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। গোটা মোহনাজুড়ে মাইকিং করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদেরও না যাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি ছিল। নিম্নচাপ সরে যেতেই গত শনি ও রবিবার দু’দিন প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার নিয়ে ২৫হাজার মৎস্যজীবী ইলিশের খোঁজে সমুদ্রে নেমে পড়েন। আগামী ১৪-১৫ আগস্ট ওই সব মৎস্যজীবীর ফেরার কথা। কিন্তু, সমুদ্রে নামার ২৪ঘণ্টার মধ্যেই ফের ৪৮ঘণ্টার জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের অফিসার মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়েছে। সেজন্য সোমবার থেকে আগামী দু’দিন মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ১২তারিখের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত শ্রাবণ মাস এলেই মাঝসমুদ্র থেকে ট্রলার ভর্তি ইলিশ দীঘা মোহনায় এসে ভিড়ত। এটাই ছিল শ্রাবণের পরিচিত দৃশ্য। কিন্তু, এবার বিধি বাম। এখনও পর্যন্ত ইলিশের দেখা নেই। সেজন্য মৎস্যজীবীদের মন ভালো নেই। সেই সঙ্গে ভোজনরসিক বাঙালিও এবছর ইলিশের স্বাদ থেকে এখনও বঞ্চিত। পর্যাপ্ত ইলিশের অভাবে অনেক জায়গায় ইলিশ উৎসব বাতিল করতে হচ্ছে। সামান্য যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম আকাশছোঁয়া। সাধারণের নাগালের বাইরে। এই অবস্থায় গত ৬-৮আগস্টের লাল সতর্কবার্তা উঠে যেতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৎস্যজীবী অনেক আশা নিয়ে সমুদ্রে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের দ্রুত ফিরে আসার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার বেশকিছু ট্রলার ফিরে এসেছে। আবার বেশিরভাগ ট্রলার মাঝসমুদ্রে ইলিশের খোঁজে রয়েছে। নিম্নচাপ মানেই ঝাঁকেঝাঁকে ইলিশ জালে তোলার সুবর্ণসুযোগ। তাই ঝুঁকি নিয়ে বেশিরভাগ মৎস্যজীবী ইলিশের সন্ধান পেতে মরিয়া।
দীঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সেই অর্থে সমুদ্র উত্তাল নয়। তাই বেশিরভাগ ট্রলার সমুদ্রে আছে। কিছু ট্রলার ফিরে এসেছে। এক একটি ট্রলারে ৩০-৪০কেজি করে ইলিশ উঠেছে। সেভাবে ইলিশের দেখা নেই। এবছর ইলিশ সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
সোমবার অবশ্য কোনও মৎস্যজীবী সমুদ্রে যাননি। তবে, আগস্ট মাসের বেশিরভাগ সময়টাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবছর ইলিশ এখনও অবধি ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। তবে, নিম্নচাপ এবং পুবালি হাওয়া বইলে ছবিটা বদলে যাবে। সেই সময়টার অপেক্ষায় আছেন হাজার হাজার মৎস্যজীবী। বাঙালির পাতে ইলিশ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার পূরণের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের দিন বদলের স্বপ্ন দেখছেন মৎস্যজীবীরা। পাশাপাশি ভোজনপ্রিয় বাঙালিও অপেক্ষায় রয়েছেন, কবে বাজারে ইলিশ সহজলভ্য হবে।