কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বৈঠকের প্রথমেই তিনজন কাউন্সিলার ও কনেভনারকে তিনি কিছু বলার জন্য বলেন। পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি সিংহের কাছে তাঁর নিজের ওয়ার্ডের অবস্থা জানতে চান শুভেন্দুবাবু। শিউলিদেবী বলেন, আমার ওয়ার্ডে হেরে রয়েছি। কিন্তু, তৃণমূলের ভোট কমেনি। অনেকটা রিকভারি হয়ে গিয়েছে। আগামীদিনে আমরা জিতে যাব। বৈঠকে শহরে ভোট কমার জন্য জনবিচ্ছিন্নতাকেই দায়ী করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি জানিয়ে দেন, মানুষের সমর্থন এমনি এমনি হারায় না। নিশ্চয়ই কোথাও খামতি আছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন মহকুমা শাসক। বছর খানেকের মধ্যেই রয়েছে পুরসভার ভোট। যা তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বৈঠকে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, এই পুরসভায় বিরোধীশূন্য করতে হবে। বিদায়ী কাউন্সিলার ও ওয়ার্ড কনভেনারদের বলেন, দল কতটা আপনাদের গুরুত্ব দেয় ভেবে দেখুন। এখন আর আপনারা ক্ষমতায় নেই, তা সত্ত্বেও আপনাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। যে বা যিনি দলের কাজ করবেন না, তাঁকে দলের দরকার নেই। তিনি দল ছেড়ে দিতে পারেন। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আগামী পুরভোটে কর্মীদের মধ্যে থেকেই প্রার্থী বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, আমি আবার শহরের সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসব। যাঁরা পদে রয়েছেন, তাঁদের মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। সমস্ত কিছু শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায় ও পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান দুর্গেশ মল্লদেবকে জানাতে হবে। ওঁরা আমাকে এসএমসএস করে জানাবেন। সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুভেন্দুবাবু বলেন, আমি সাতটি জেলার দায়িত্বে রয়েছি। কারও পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য আমি আসিনি। যাতে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সম্বন্বয় বাড়ে, সেটাই দেখা হচ্ছে।
বৈঠকে ঝাড়গ্রাম শহর মহিলা তৃণমূলের দায়িত্বে কে আছেন, তা জানতে চান শুভেন্দুবাবু। কিন্তু, কেউই তা জানাতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে শুভেন্দুবাবু জেলা সভাপতি বীরবাহা সরেন টুডুকে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলা সংগঠন তৈরি করার নির্দেশ দেন। ১৫ আগস্ট প্রতিটি ওয়ার্ডে জাতীয় পতাকা তোলার নির্দেশ দেন তিনি। আবার ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস পালনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলার এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, সম্প্রতি নেত্রী জনপ্রতিনিধিদের দুপুরের পর দলীয় কার্যালয়ে বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, অধিকাংশ সময় জেলার দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকে। আবার খোলা থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের দেখা মিলে না। বড় নেতা এলে সবাই এক হয়। তারপর যে যাঁর মতোই থাকেন।
ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায় বলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৮টি ওয়ার্ডেই সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন শুভেন্দুবাবু। তারপর জনসংযোগের রূপরেখা ঠিক হবে। ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বীরবাহা সরেন টুডু বলেন, শুভেন্দুবাবু যেভাবে বলেছেন ও নির্দেশ দিয়েছেন, সেইভাবেই কাজ হবে।