গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ২৯জুলাই সকালে তারাপীঠের একটি লজের ব্যালকনি থেকে বিহারের পুর্নিয়া জেলার গোলাপবাগ এলাকার এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবক আত্মীয়দের সঙ্গে তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছিলেন। পরে ফরেন্সিক দল এসে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই যুবক চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সেই ঘটনার ১৫দিনের মধ্যে রবিবার গভীর রাতে ফের তারাপীঠের একটি লজের চারতলা থেকে এক যুবকের রহস্যজনকভাবে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ভাঙর থানার ভোজেরহাট গ্রামের জনা ছ’য়েক যুবক চারচাকা গাড়ি চড়ে তারাপীঠে আসেন। তাঁরা হোটেলের চারতলার একটি রুম ভাড়া নেন। তাঁদেরই একজন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ওই লজের নীচ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হয়। বছর ২০-র ওই যুবকের নাম লক্ষ্মণ মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে থাকা দাদা রাম মণ্ডল বলেন, বাথরুমের জানালার কাচ ভাঙার শব্দ পেয়ে ঢুকে দেখি ভাই নেই। পরে নীচে গিয়ে দেখি ভাই অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই সময় লজের কেউ আমাদের সহযোগিতা করেননি। এক অটোচালকের সাহায্যে ভাইকে তুলে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি বলেন, ভাই সহ তাঁর বন্ধুরা অত্যধিক মদ্যপান করেছিল। কিন্তু, কীভাবে জানালার কাচ ভেঙে ভাই নীচে পড়ে গেল বুঝতে পারছি না। তাঁর দাবি, নিশ্চয় কেউ ভাইকে তুলে কাচ ভেঙে ফেলে দিয়েছে। অন্যদিকে জখম লক্ষ্মণ বলেন, রাতে টয়লেটের জন্য বাথরুমে ঢুকেছিলাম। তারপর কী হয়েছে জানি না। সকালে দেখি আমি হাসপাতালে রয়েছি। অন্যদিকে হোটেলের ম্যানেজার সুজিত গড়ুই বলেন, ফোর বেডের দু’টি খাট সহ একটি রুম ওঁরা ভাড়া নিয়েছিলেন। তখন বলা হয়েছিল ড্রাইভার গাড়িতে ঘুমবে। কিন্তু, একটি রুমেই ওঁরা ছিলেন। অত্যধিক মদ্যপানও করেছিলেন তাঁরা। পরে ওঁরাই খবর দেন তাঁদের একজন বাথরুমের কাচ ভেঙে নীচে পড়ে গিয়েছেন। যদিও তাঁর দাবি, বাথরুমের জানালার কাচ নির্দিষ্ট উঁচুতে রয়েছে। যতই মদ্যপান করুক সেখান থেকে পড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবককে কেউ ফেলে দিয়েছে। কেবল লাইনের তারে ধাক্কা না লাগলে সরাসরি নীচে পড়লে হয়তো মারা যেত।
তারাপীঠে এই ধরনের ঘটনা বেড়ে চলায় লজ মালিকরা যথেষ্ট চিন্তিত। লজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, একের পর এক ঘটনায় আমরা যথেষ্ট চিন্তিত। তবে, এটা আত্মহত্যার চেষ্টা নয়। ওদের নিজেদের মধ্যে মজা করতে গিয়ে কেউ ফেলে দিয়েছে। পুলিস অবশ্য ওই যুবকের সঙ্গে আসা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। রামপুরহাট থানার আইসি সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা জানতে আটক তিনজনকে জেরা করা হচ্ছে।