বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ হরিশচক এলাকা থেকে বালির বস্তা বোঝাই একটি মোটর ভ্যান দ্রুতগতিতে সাবলসিংপুর দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় রাস্তার পাশে থাকা তিন বছরের হাফিজুলকে ধাক্কা দেয় মোটর ভ্যানটি। তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মোটর ভ্যানের চালককে পাকড়াও করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। মৃতদেহ নিয়ে ঘটনাস্থলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, সাবলসিংহপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। সেই নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন বালি তোলার কাজ চলছে। এদিন সকালেও খানাকুল থানার আজগুবিতলা থেকে বালিবোঝাই করে মোটর ভ্যানটি দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মৃত শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় মাস তিনেক আগে খানাকুল-২ ব্লকের নতিবপুরের তরফদার পাড়ার বাসিন্দা বাবুলাল তরফদার তাঁর স্ত্রী কাকলি বেগমকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাপেরবাড়ি পাঠিয়েছিলেন। কাকলি বাপেরবাড়িতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এদিন তাদের তিন বছরের ছেলের মৃত্যু ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাবুলাল বলেন, স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বাপেরবাড়ি যায়। এদিন কীভাবে যে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর মহম্মদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের ছোট রাস্তা দিয়ে বেপরোয়াভাবে বালিবোঝাই মোটর ভ্যানগুলি যাতায়াত করে। এদিন সকালে একটি মোটর ভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মোটর ভ্যানের চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এমনকী সে ফোনে কথা বলতে বলতে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল। এর আগেও এলাকায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। একাধিকবার পুলিস-প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এদিন পথ অবরোধ করি।