বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সঙ্কট কাটাতে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী গত বুধবার ডোমকল এবং জঙ্গিপুরের নেতাদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাতে ক্ষোভে কিছুটা প্রলেপ পড়েছে। কিন্তু ২১জুলাইয়ের সভায় এক লক্ষ লোক নিয়ে যাওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে দলের গ্রহণযোগ্য মুখের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে সেই অভাব আরও বেশি করে দেখা দিয়েছে। সেকারণেই নেতারা মুখে এক লক্ষ লোক নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও কর্মীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে। দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের বলেন, জেলা থেকে এক লক্ষ লোক যাবেই। পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কে কত বাস নিয়ে যাবে তা বলে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের অনেকেরই দাবি, ২১জুলাই নিয়ে অন্যান্য জেলায় যেভাবে প্রচার হয়েছে মুর্শিদাবাদে তা হয়নি। সেকারণে জেলা পর্যবেক্ষক কয়েকদিন আগে বহরমপুরে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বহরমপুরের নেতাদের কালিদাস বলে কটাক্ষ করেন। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, বহরমপুরের বেশ কিছু নেতা সত্যিই নির্বাচনে কালিদাসের ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁরা বাইরে তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে ঘুরলেও ভোটের শেষ লগ্নে অন্য সুরে কন্ঠ ছেড়েছিলেন। সেকারণেই বহরমপুর শহরে বিপুল ভোটে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে। কর্মীদের মতে, শুদ্ধিকরণ না করলে এই জেলায় বিধানসভা নির্বাচনে দলকে বেগ পেতে হবে। কংগ্রেস এবং সিপিএম নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছে। তাই আগামী দিনে আরও জোরদার আন্দোলনে নামতে হবে। ২১ জুলাইকে সামনে রেখেই সেই অভিযান শুরু করা যেত। কিন্তু সেটাও করতে ব্যর্থ নেতারা। এমনই দাবি কর্মীদের।