কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা(শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, বুধবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১লক্ষ ৭০হাজার কৃষকবন্ধুর চেক বিলি হয়েছে। টাকার অঙ্কে প্রায় ৩৩কোটি টাকার চেক বিতরণ করেছে কৃষি দপ্তর। এছাড়া ১৩০জন কৃষকের পরিবারকে মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ বাবদ দু’লক্ষ টাকা করে মোট ২কোটি ৬০লক্ষ টাকার চেক বিলি করা হয়েছে। দুটি স্কিম মিলিয়ে জেলায় প্রায় ৩৬কোটি টাকার চেক চাষিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের কারণে ৩৫হাজার কৃষকবন্ধুর চেকের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। প্রায় ৫কোটি টাকার চেকের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। সেই চেকগুলি ব্লক থেকে ফেরত এনে আবার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে ফেরত পাঠায় জেলা কৃষি দপ্তর। সেগুলি ‘রি-ভ্যালিড’ হয়ে ফিরতে দিন পনেরো সময় লাগে। তাছাড়া একসঙ্গে কয়েক লক্ষ চেক আলাদা আলাদা ব্যক্তির নামে প্রিন্ট করতে গিয়ে ব্যাঙ্কের সময় লেগে যায়। ব্যাঙ্কের প্রিন্টার খারাপ হওয়ায় বিভ্রাট তৈরি হয়। সবমিলিয়ে ভোটের পর চেক বিলি করতে গিয়ে জেলা কৃষি দপ্তরকে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্যা দ্রুত কাটিয়ে উঠে একমাসের মধ্যেই দেড় লক্ষ চেক বিলি করা সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে সমস্ত কৃষককে তাঁর চাষবাসের খরচের জন্য প্রতি একর জমিতে বছরে রবি ও খরিফ মরশুমে দু’দফায় মোট ৫হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
এক কৃষি আধিকারিক বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুর ৬লক্ষ ১০হাজার চাষির নাম নথিভুক্ত করে রাজ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। এখন পর্যন্ত চাষিদের নামে ২লক্ষ ৬৪হাজার চেক তৈরি হয়েছে। বাকি চেক দ্রুত তৈরি হবে। জুলাই মাসের মধ্যেই ৪লক্ষ ৪০হাজার চেক চাষিদের বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ বর্ষা নামলে চাষিরা মাঠে নেমে গেলে চেক বিলিতে সমস্যা হতে পারে। সেজন্য বাকি ২০দিনের মধ্যে কীভাবে পাহাড় প্রমাণ চেক বিলি করা সম্ভব তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষি আধিকারিকদের কপালে। জেলার মধ্যে রামনগর-১ ব্লকে সর্বোচ্চ ২১হাজার ৭০০চেক বিলি হয়েছে। মহিষাদলে ২০হাজার চেক বিলি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই বাকি ব্লকগুলিকে দ্রুত কাজ শেষ করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) আশিস বেরা।