বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শ্রীকান্তবাবু সেকেন্দরপুরে একটি মুরগির দোকানে ভারত-নিউজিল্যান্ডের অসমাপ্ত খেলা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে দেখছিলেন। ধোনির রান আউটের পরই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে দোকানের খুঁটি ধরে বসে পড়েন। পরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখিয়ে তাঁকে আরামবাগের দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই মুরগির দোকানের মালিক বাপন ভুঁইয়া বলেন, ওইদিন আমরা একসঙ্গে খেলা দেখছিলাম। প্রথমদিকে ভারতের খেলোয়াড়দের আউটের পর শ্রীকান্তবাবু একটু মুষড়ে পড়েছিলেন। তারপরও ধোনির উপর ভরসা রেখেছিলেন। কিন্তু, ধোনি আউটের পর শ্রীকান্তবাবু হতাশায় কষ্ট পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরএক ব্যবসায়ী সুদীপ চট্টারাজ বলেন, শ্রীকান্তর নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকায় সামনের একটি দোকানে একসঙ্গে খেলা দেখছিল। বিশ্বকাপের অন্য খেলাগুলিও সে দেখেছিল।
প্রতিবেশী তপন ঘোষ বলেন, শ্রীকান্ত অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। তাঁর খেলার প্রতি ব্যাপক টান ছিল। ধোনির রান আউট তিনি মেনে নিতে পারেননি। তাই হয়তো এভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তাঁতিশালের বাসিন্দা শ্রীকান্তবাবুর বাড়িতে মা, স্ত্রী সহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ছেলের বয়স তিন বছর। তাঁর স্ত্রী রীতা মাইতি বলেন, মাঝে মাঝে তাঁর বুকে লাগত। কিন্তু, বড় কোনও সমস্যা ছিল না। ওইদিন খেলা দেখছিল। ভারত হেরে যাচ্ছিল দেখে তাঁর কষ্ট হয়। ছেলে-মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিতে কোনও সাহায্য পেলে ভালো হয়।