সংবাদদাতা, বর্ধমান: বর্ধমান শহরের পারবীরহাটা এলাকায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘরে সিলিং ফ্যানের হুকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। তড়িঘড়ি গামছা কেটে নামিয়ে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের নাম সঞ্জু মাঝি(২৩)। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে তিনি কাজে যাচ্ছিলেন না। এনিয়ে বাবা তাঁকে বকাঝকা করেন। বাবার বকুনিতে অভিমানে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান।
অন্য একটি ঘটনায় ভাতার থানার কালুত্তক গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গায়ে আগুন লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতার নাম সামিলা বিবি(২১)। দিনকয়েক আগে তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে নেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
অপর একটি ঘটনায় খণ্ডঘোষের আমিলাবাজারে রাইস মিলে কাজ করার সময় মেশিনে গামছা জড়িয়ে এক মহিলা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম শিবানী মাড্ডি(৩০)। বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার হেরোডাঙায় তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে তিনি রাইস মিলে কাজ করতে আসেন। বুধবার বিকেলে কাজ করার সময় মেশিনে গামছা জড়িয়ে গিয়ে তিনি গুরুতর জখম হন। সহকর্মীরা তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ভর্তির ঘণ্টাখানেক পর তিনি মারা যান।
অন্যদিকে, ভাতার থানার নর্জায় কাগজের বান্ডিল চাপা পড়ে কন্টেনারের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রাজারাম মাহাত(৩২)। বিহারের সমস্তিপুরে তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতা থেকে কন্টেনারে কাগজের বান্ডিল নিয়ে তিনি ভাতারের নর্জায় পেপার মিলে আসেন। কন্টেনারের ডালা খোলার সময় আচমকা একটি কাগজের বান্ডিল গড়িয়ে পড়ে। তাতে তিনি চাপা পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।