বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, ১৫জুলাই থেকে আমরা স্বচ্ছতা পক্ষ পালন করব। এইসময় পতঙ্গবাহিত রোগের উপদ্রব বাড়ে, তাড়াছা নিকাশি ব্যবস্থাও উন্নত করা প্রয়োজন, সব জায়গায় এই অভিযান হবে। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও অংশ নেবে। এছাড়াও আমরা পুরসভাগুলির সঙ্গেও আলাদা করে বসেছিলাম। তাদের কী সমস্যা আছে জানলাম। বিশেষ করে যততত্র আবর্জনা ফেলা রোধ করতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, আমাদের নিজেদের সচেতন হয়ে জেলাকে স্বচ্ছ করে তুলতে হবে। প্লাস্টিকের ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিকগুলি আমরা আগেই জানি। এবার জেলাজুড়ে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির পর এবার জেলাজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর এইসময় একদিকে যেমন চাষাবাদ শুরু হয় তেমনই বাড়ে মশা সহ পতঙ্গের উপদ্রব। দু’বছর আগে এই মশাবাহিত রোগই জেলায় প্রায় মহামারির রূপ নিয়েছিল। শতাধিক জেলাবাসী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুবরাজপুরের একটি ওয়ার্ড থেকেই পঞ্চাশের বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। মশার উপদ্রবের প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল, যত্রতত্র জল জমিয়ে রাখার ও স্বচ্ছতার অভাব। অন্যদিকে, জেলার নিকাশি ব্যবস্থাও তথৈবচ। শহরের নর্দমাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়ায় নোংরা জমে থাকে। তারপর রয়েছে মারাত্মক রকমের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার। প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কয়েক বছর আগে পুরসভা কড়াকড়ি করলেও ধারাবাহিক নজরদারির অভাবে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিক। যাও নিকাশি ব্যবস্থা স্তব্ধ করে দিচ্ছে। আর এই সমস্যাগুলি চূড়ান্ত আকার নেওয়ার আগেই বর্ষার শুরুতে বিষয়গুলি মেটাতে উদ্যোগী প্রশাসন। সেজন্যই ১৫দিন ধরে বিশেষ স্বচ্ছতা পক্ষকাল পালিত হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় স্বচ্ছতা নিয়ে সেচেতনতামূলক র্যা লি হবে। এমনকী র্যা লি থেকেই এলাকা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অভিযান হবে। বিশেষ করে নজর দেওয়া হবে হাসপাতালগুলির পরিচ্ছন্নতার উপর। অংশ নেবে স্কুলের পড়ুয়ারাও। তারা ডাস্টবিন বানাবে, তা বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার হবে। এছাড়াও ১০০দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমেও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্বচ্ছতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর বিশেষভাবে উদ্যোগী হবে। সর্বোপরি প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর সচেতন করা হবে। বিশেষ করে ৫০মাইক্রনের কম প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই নিয়ম কার্যকর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সর্বশেষে পুরসভাগুলির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। পুরসভাগুলিকে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ি করার কথা বলা হলেও তাদের গা ছাড়া মনোভাব প্রশাসনকে চিন্তায় রাখছে। তাই এদিন বৈঠক থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। যদিও বহু পুরসভার চেয়ারম্যান এদিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের জমি নিয়ে আমাদের কিছুটা সমস্যা রয়েছে, বৈঠকে তা জানিয়েছি।