বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেও এই রাস্তা সংলগ্ন আস্তাবল মোড়ে এই ইস্যুতে পথ অবরোধ করেছিল শাসকদল। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় প্রতিদিনই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে। অন্যদিকে এই রাস্তা দিয়েই লালবাগ মহকুমা আদালত, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, লালবাগ রেল স্টেশন, কলেজ ও মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লক অফিস যেতে হয়। অবৈধ দখলদারদের তোলার দাবি জানায় স্কুল পড়ুয়ারা। এদিন পড়ুয়াদের স্লোগান ছিল, হবেই হবে জয়, খুলে যাবে দ্বার।
এক স্কুল পড়ুয়া বলে, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই রাস্তায় তীব্র যানজট লেগে থাকে। সময়মতো স্কুলে পৌঁছতে পারি না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতাল সংলগ্ন এই রাস্তায় বাইরে থেকে বহু মানুষ ব্যবসা করতে আসেন। প্রথমে রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গা দেখে অস্থায়ীভাবে পসরা সাজিয়ে বসে। এরপর ধীরে ধীরে প্রথমে কাঁচা ও পরে কংক্রিটের দোকানঘর তৈরি করে। এরফলেই গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার ফুটপাত সহ বেশ কিছুটা অংশ ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গিয়েছে। ক্রমশ রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, মহকুমা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অভিযোগ, হাসপাতালে ঢোকার সময় ব্যাপক যানজট হয়। ফলে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ওই এলাকায় বহিরাগত কিছু ব্যবসায়ী রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকান তৈরি করছে। যার ফলে যানজট সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওই রাস্তা পুরসভার অধীনে নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার প্রশাসন ও পূর্ত দপ্তরকে জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও সমস্যা সমাধানে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সিঙ্গি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব ঘোষ বলেন, আমাদের বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরেই স্কুলের নিজস্ব মাঠ রয়েছে। মাঠের দু’টি গেটে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ করছে কিছু ব্যবসায়ী। আমরা বারংবার বাধা দিয়েছি। ওই নির্মাণ কাজের ফলে স্কুলমাঠের ঢোকার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। গ্রিন সিটি প্রকল্প সহ মিনি স্টেডিয়াম করার প্রস্তাব রয়েছে ওই মাঠে। কিন্তু মাঠের প্রবেশপথ ক্রমশ দখল হয়ে গিয়েছে। তাই স্কুলপড়ুয়ারা বাধ্য হয়ে পথে বসে, পথ অবরোধের শামিল হয়। আমরাও এই অবরোধকে সমর্থন জানিয়েছি।