বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালি খাতুন ও অষ্টম শ্রেণীর আর এক ছাত্রী আসরাফপুর থেকে একসঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। শ্যামনগর মোড় থেকে কিছুটা যাওয়ার পরেই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গা থেকে তাদের অপহরণ করার চেষ্টা হয়। অভিযোগ, একটি মোটরবাইকে দু’জন দুষ্কৃতী পিছন থেকে এসে সোনালির চুল ধরে টেনে বাইকে তোলার চেষ্টা করে। না পারলে তারা ওই ছাত্রীকে গলা টিপে ধরে বাইকে তোলার চেষ্টা করে। ঘটনায় ওই ছাত্রী ও তার বান্ধবী চিৎকার শুরু করে। আশেপাশের লোকজন ছুটে আসতেই দুই দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিস আসে। অভিভাবকরাও খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে যান। পুলিসের সঙ্গে অভিভাবকদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে স্কুল শিক্ষকরা অভিভাবক ও পুলিসকে আলোচনায় বসে। স্কুলের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই অভিভাবকরা স্কুল শুরু ও ছুটির সময় সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়া ও পুলিসের টহলদারি চালানোর দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে পুলিসের পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারেও বলা হয়েছে। এরপরে স্কুল কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দল বেঁধে স্কুলে আসার ব্যাপারে জানায়।
এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুমারেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, এই ঘটনা ঘটার পরে আমরা পলাশীপাড়া থানায় ফোন করেছিলাম। সেখান থেকে বলা হয় ওই জায়গা তেহট্ট থানার অধীন। পরে তেহট্ট থানায় ফোন করি। এর মধ্যে পলাশীপাড়া থানা থেকে পুলিস চলে আসে। সেইসঙ্গে তেহট্ট থানা থেকেও পুলিস আসে। এরপর অভিভাবক, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিস আলোচনায় বসে স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করে। সেখানে স্কুল শুরু ও ছুটির সময় সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়া হবে বলে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আমরাও খুব তাড়াতাড়ি সিসি ক্যামেরা স্কুলে লাগানোর ব্যবস্থা করব। সেইসঙ্গে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়েছে, একসঙ্গে দলবেঁধে স্কুলে আসতে। এনিয়ে অভিভাবকদেরও সতর্ক করা হয়েছে।
ঘটনা নিয়ে দুই অভিভাবক বলেন, এর আগেও স্কুলের এক শিক্ষিকাকে নিগ্রহ করার ঘটনা ঘটে। বেশকিছু বহিরাগত ছেলে বাইক নিয়ে স্কুল সংলগ্ন প্রায় ৫০০ মিটার ফাঁকা জায়গায় আড্ডা দেয়। তারা অশ্লীল আচরণ করে। পুলিসের এ বিষয় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ছাত্রীদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা হয়। এদিন অপহরণ করার চেষ্টা হয়েছে। বিষয়টা অত্যন্ত আতঙ্কের। এদিকে, ঘটনার পর সোনালিকে নিয়ে তার বাবা বাড়ি চলে আসে। ঘটনার পর নিগৃহীত ছাত্রী যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, এই স্কুলের সামনে বেলা ১০ টা থেকে সাড়ে এগারোটা ও বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়া হবে। পাশাপাশি পুলিসের টহলদারি চালানো হবে।