বিদ্যার্থীদের মানসিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাবে। পঠন-পাঠনে আগ্রহ কম থাকবে। কর্মলাভের সম্ভাবনা আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থানার সন্তোষপুরে বালি ব্যবসা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। বিজেপির নেতৃত্বে এলাকাবাসীদের একাংশ দাবি তোলে, প্রায় দু’বছর আগে সরকারিভাবে বালি ব্লক বণ্টনের সময় ব্যবসায়ীরা গ্রামে একটি মনসা মন্দির ও ক্লাবঘর বানিয়ে দেওয়ার কথা দিয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। অন্যদিকে, বর্ষার মরশুম এসে যাওয়ায় নদী থেকে বালি তোলা বন্ধ। গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় মজুত বালি তোলার কাজ শুরু করেছিলেন বালি ব্যবসায়ীরা। সেই কাজ করতে গিয়ে বাধা দেয় গ্রামবাসীদের একাংশ। তারা ক্লাব ও মন্দির তৈরির জন্য টাকার দাবি করতে থাকে। মালিকপক্ষ আলোচনা করে কোনও সমাধান সূত্র না হওয়ায় বালি পরিবহণের রাস্তা আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মালিকপক্ষ ইলামবাজার থানায় গ্রামের বিজেপি নেতা সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দশ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ জানায়। এরপর পুলিস রাতেই অভিযানে গিয়ে শম্ভুনাথ মণ্ডল, রঞ্জিত বৈরাগ্য, নিখিল বৈরাগ্য, জীবনকুমার ঘোষ, অশ্বিনী ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। তোলাবাজি, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে এদিন তাদের বোলপুর আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসিজেএম মণিকুন্তলা রায়ের এজলাসে তোলা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেও বিচারক আবেদন খারিজ করে ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, পাঁচজন অভিযুক্তের জামিন নাকচ করে দিয়ে ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বিজেপির ইলামবাজার মণ্ডল সভাপতি শিবদাস ঘোড়ুই বলেন, ১০ লক্ষ টাকা বিজেপি নেতা চাননি। মন্দির ও ক্লাবঘর করার জন্য গ্রামবাসীরা চেয়েছিল। দেড়বছর আগে বালির ব্লকের মালিকদের সঙ্গে সমঝোতা করে তৃণমূল নেতারা এই মন্দির ও ক্লাবঘর বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মানুষ এতদিন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি, এখন প্রতিবাদ করতে গিয়েই আমাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
ইলামবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, বিজেপির আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। আসলে আমরা দুর্নীতিগ্রস্তদের তাড়িয়ে দিয়েছি, বিজেপি তাদের নিয়েই আমাদের নেতাদের উপর চড়াও হচ্ছিল। আসলে ওরা এক একটা তোলাবাজ।
এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় আগে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল তৃণমূল নেতাদের। তাই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করেই ব্যবসা চালাত অনেকে। তবে লোকসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপি গ্রামে গ্রামে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে চাইছে। তাই সাধারণ মানুষের দাবিগুলি সামনে রেখে বালি ব্যবসায়ীদের চাপে ফেলার কৌশল নেয় বিজেপি।