উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিন দুপুরে ছিল প্রসাদ খাওয়ার আয়োজন। প্রথমে মহাপ্রসাদে থালায় ফল দেওয়া হয়। তারপর অন্ন প্রসাদ (সাদা ভাত), ডাল, পঞ্চরত্ন তরকারি, বেসন আলু পটলের তরকারি, পায়েস ও চাটনি দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সুবর্ণরেখা নদী থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে ১০৮ ঘড়া জল এনে জগন্নাথদেবকে স্নান করানো শুরু হয়। তারপর কাঁচা হলুদ, ঘি মাখানো হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। এরপর ৫০ লিটার দুধ দিয়ে স্নান করানো হয় তাঁদের। আগামী বৃহস্পতিবার দণ্ডমহোৎসবের দধিযাত্রা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা আরতির পর শোভাযাত্রা গোপীবল্লভপুর পরিক্রমা হবে।
জনশ্রুতি, প্রায় চারশো বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে এই স্নানযাত্রা। জগন্নাথের স্নানযাত্রার উত্সবের জন্য এখানে প্রতি বছর স্বর্ণমুদ্রা পাঠাতেন মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গির। গোপীবল্লভপুরের বৈষ্ণবক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠাতা বৃন্দাবনের পরম বৈষ্ণব শ্যামানন্দ গোস্বামী। তাঁর উদ্যোগে আনুমানিক ১৬২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গোপীবল্লভপুরের স্নানযাত্রা উত্সবের সূচনা হয়েছিল। জনশ্রুতি, প্রতি বছর পুরীতে রথ উত্সবে জগন্নাথ দর্শনে যেতেন সপার্ষদ শ্যামানন্দ। একবার নীলাচলে যাওয়ার পথে বয়সের ভারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন, জগন্নাথ তাঁকে বলছেন, ভক্তকে দেবতার কাছে আসতে হবে না। দেবতাই ভক্তের কাছে থাকবেন।
একসময় গোপীবল্লভপুর বৈষ্ণব ক্ষেত্রের প্রচুর সম্পত্তি ছিল। তা দিয়েই অত্যন্ত জাঁকজমক করে উত্সব অনুষ্ঠান হতো। সে সময় এলাকাটি ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের রাজার অধীনে ছিল। শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের বর্তমান মহান্ত কৃষ্ণকেশবানন্দ দেবগোস্বামী বলেন, এবার স্নানযাত্রার জন্য ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকে ভক্তরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় স্নানযাত্রায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। আগের থেকে স্নানযাত্রার জৌলুস আরও বেড়েছে।