উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
তৃণমূলের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষের সভার পরই বিজেপি দুষ্কৃতীরা তাদের ঘরে ফেরা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ঘরছাড়ারা এলাকায় ফিরে এসে তাদের কর্মীদের উপর হমলা করেছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি ছোট ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পুলিস দেখছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে মোহনপুরে সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা এলাকার সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ। তাঁর সভা শেষ হওয়ার পরই বিজেপির কর্মীরা সদ্য ঘরে ফেরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল পাল্টা প্রতিরোধ করলে এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমাবাজিও চলে।
বাসিন্দারা বলেন, ওই দিন আচমকাই গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। মারধর, চিৎকার চেঁচামেচিতে সারা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন জখমও হন। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই ওই এলাকায় দুই দলের বিরোধে উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযোগ, বিজেপির তাণ্ডবে তৃণমূলের প্রায় শাতাধিক কর্মী আতঙ্কে ঘর ছেড়ে চলে যান। সম্প্রতি পুলিসের উদ্যোগে তাঁদের ঘরে ফেরানো হয়। তারপর ওইদিন নতুন করে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ায় বলে অভিযোগ। ওই দিন ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বেলদা পুলিস মহকুমার এসডিপিও সুমনকান্তি ঘোষ সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা। পুলিস পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এরপর এলাকায় রুটমার্চ করে পুলিস। সুমনবাবু বলেন, ওখানে আগে থেকেই একটি পুলিস ক্যাম্প আছে। এদিন তার আরও শক্তি বৃদ্ধি করা হয়। তিনি বলেন, ওই দিন দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
বিক্রমবাবু বলেন, দিলীপবাবু উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার পর সভা থেকে ফেরার পথেই বিজেপি দুষ্কৃতীরা আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। দুই মহিলা সহ তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে মোহনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে এগার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মোহনপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ পাত্র বলেন, কয়েক দিন আগে যাঁদের প্রশাসন ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে গিয়েছে, তাঁদের উপরেই লোহার রড, লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা করা হয়। ঘরে ঢুকে এক মহিলা কর্মীকেও মারধর করা হয়।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মোশাফ মল্লিক বলেন, দিলীপবাবুর সভা থেকে আমাদের কর্মীরা যখন বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় সদ্য ঘরে ফিরে আসা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই তাদের উপর হামলা চালায়। বোমাবাজিও করা হয়। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওদের যেমন তিনজন জখম হয়েছেন, তেমনই আমাদেরও এক কর্মী গুরুতর জখম হন।
মন্ত্রী সৌমেনবাবু বলেন, এদিন আমরা এলাকা পরিদর্শন করি। আমাদের আক্রান্ত কর্মীদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। এর আগে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেই সব অফিসও এদিন ঘুরে দেখা হয়। তিনি বলেন, বহু মানুষ বাইরে বেরিয়ে এসে তাদের উপর অত্যাচারের কথা এদিন জানিয়েছেন। আমরাও পাল্টা হামলা করতে পারি। কিন্তু আমরা তা চাই না। কারণ ওই রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। পুলিসকে বলেছি, ঘটনা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।