উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে স্থানীয় গড্ডা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একটি কংক্রিটের নিকাশি নালা তৈরি হচ্ছে। নালা তৈরি নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গত বুধবার নালা তৈরিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলাও হয়। গ্রামের বিজেপি কর্মীরা নালার সিডিউল চাইলে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তা দিতে চাইছিলেন না বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, নালার সিডিউল দেওয়ার পরেও ওইদিন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের কাজল শেখের ছেলেকে মারধরও করে বিজেপি কর্মীরা।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের শনিবার সন্ধ্যায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, ওইদিন সন্ধ্যায় এলাকার তৃণমূল নেতা কাজল শেখ এবং তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী শুভাশিস ঘোষ, সুখেন ঘোষ এবং নবকুমার সাহাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর গ্রামের মোড়ে তাঁদের দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে মারধর করা হয়।
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের কিল-চড়ের সঙ্গে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। ফলে ওই তিন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন। এদিকে মারধরের ঘটনার প্রায় একঘণ্টা পর সেখানে পুলিস পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিস জখমদের উদ্ধার করে প্রথমে ভরতপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে প্রত্যেককে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। শুভাশিস ঘোষের আঘাত গুরুতর হওয়ায় রবিবার তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ, সোমবার বহরমপুর লোকসভার পর্যবেক্ষক তপন চন্দ্রের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধি দল গ্রামে যাবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। ভরতপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে, তল্লাশি চলছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
বিজেপির ভরতপুর ৪৯নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি গোপীনাথ পাল বলেন, গত লোকসভা ভোটে ওই গ্রামের দু’টি বুথেই বিজেপি প্রার্থী লিড পেয়েছেন। তখন থেকেই আমাদের দলের কর্মীদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে, আক্রমণও করছে। এদিনের ঘটনা পরিকল্পিত। নালা তৈরির বিষয়টি বড় কথা নয়, বিজেপির বাড়বাড়ন্ত আটকাতে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের উপর এই ধরনের সন্ত্রাস চালিয়েছে।
যদিও তৃণমূলের কান্দি মহকুমা সভাপতি গৌতম রায় বলেন, বিজেপি কর্মীরা আমাদের পঞ্চায়েত সদস্য কাজল শেখের কাছে নালার কাজের সিডিউল চেয়েছিলেন, তা দেওয়া হয়েছে। এরপর কাজল শেখের ছেলেকে মারধরও করেছে। এরপর আবারও ওরা এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। শনিবার সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। বিজেপি কর্মীরা নালা তৈরির বিষয়টাকে রাজনৈতিক ইস্যু করে ঝামেলা পাকাতে চাইছে।