উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, সোমবার শুভেন্দুবাবু বৈঠক করতে আসছেন। মূলত কর্মী বৈঠক হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই এই বৈঠকে থাকবেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, সব পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, সব জেলা পরিষদ সদস্য, ব্লকের বাছাই করা নেতা, কাউন্সিলার, বিধায়ক, জেলা নেতারা বৈঠকে আসবেন। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এই প্রথম বসা হচ্ছে। দল আগামী দিন কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে উনি বলবেন। সেই সঙ্গে জনসংযোগ যাত্রার প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হবে।
উল্লেখ্য, ভোটের ফলাফলে জেলার দু’টি আসনের মধ্যে মেদিনীপুর আসনটি বিজেপির দখল গিয়েছে। ঘাটালে দেব জয়লাভ করলেও শাসকদলই বলছে, কেশপুর ৯২ হাজার লিড না দিলে ঘাটাল আসনেও বিজেপির জয় নিশ্চিত ছিল। এক বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটেও এতটা খারাপ অবস্থা ছিল না তৃণমূলের। ফলে কোন কোন জায়গায় ফাঁক রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে এখন মরিয়া তৃণমূল।
পাশাপাশি ভোট শেষে এখনও নানা জায়গায় সন্ত্রাস চলছে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে। একাধিক পার্টি অফিস দখল করা হয়েছে। তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক ঘরছাড়া। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় সেসব নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের সাংগাঠনিক অবস্থা খুব একটা ছন্নছাড়া না হলেও ব্লকে ব্লকে অনেক নেতা, কর্মী এখনও সন্ত্রস্ত। কী করবেন, কোন পথে হাঁটবেন, অনেকেই তা বুঝতে পারছেন না। আবার দলের নিচুতলায় ভাঙনও শুরু হয়েছে। এই সব নিয়েই একজন অভিভাবকের পরামর্শও সকলেই চাইছেন। ফলে আজকের বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দুবাবু কেশপুর, মেদিনীপুর সদর ব্লক, শালবনী, গড়বেতা সহ একাধিক জায়গায় গিয়েছেন। ব্লকের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভরসা দিয়েছেন। পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন। তার এই বার্তায় পরিস্থিতির কিছুটা বদল হলেও এখনও জেলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস চলছে। মনোবল কমছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের। শালবনী, দাঁতন, মেদিনীপুর সদর, খড়্গপুর গ্রামীণের মতো একাধিক জায়গায় প্রায় প্রত্যেকদিনই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা আক্রমণের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবু কী বার্তা দেন, সেদিকে মুখিয়ে রয়েছেন সকলে।
এছাড়াও দলের ভাঙন নিয়ে চিন্তিত শাসক শিবির। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্যরা বিজেপিতে ভিড়তে শুরু করেছেন, যা যথেষ্ট চাপে রেখেছে দলকে। এই নিয়ে শুভেন্দুবাবু কী বার্তা দেন সে দিকেও তাকিয়ে থাকছেন কর্মীরা। দলীয় একটি সূত্রের খবর, দলের এক বৈঠকে এর আগে ব্লক সভাপতিদের কাছে এলাকার ব্যর্থতা, সমস্যা, খারাপ ফলের কারণ পর্যালোচনা করে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছিল। সেই রিপোর্টও জমা পড়েছে জেলা নেতাদের কাছে। ওই বিষয়েও আলোচনা হতে পারে আজ। পাশাপাশি সামনে পুরসভা ভোট হতে পারে, রয়েছে খড়্গপুরের উপনির্বাচনও। সব মিলিয়ে কোন পথে হাঁটবে দল, তা বাতলাতে পারেন শুভেন্দুবাবু। জেলার ওই নেতা বলেন, দলের কর্মীরা এখন ঠিক কোন পথে হাঁটবে তা শুভেন্দুবাবুর থেকেই তাঁরা শুনতে চাইছেন। উনি সবাইকে পথ দেখাবেন। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সেই বার্তাও শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।