উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মনোরঞ্জনবাবু বর্তমান খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। তিনি স্থানীয় হরিশচক হাইস্কুলে পার্শ্ব শিক্ষকের পাশাপাশি পরিচালন সমিতির সভাপতিও ছিলেন। সাবলসিংহপুর পঞ্চায়েতের হরিশচকে তাঁর দোতলা বাড়ি রয়েছে। বাড়িতে দুই ছেলে ও তাঁর স্ত্রী রয়েছেন। বড় ছেলে হরিশচকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পাম্পের অপারেটরের কাজ করেন। ছোট ছেলে এবারই উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মনোরঞ্জনবাবু ওইদিন সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কিছুদূরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রকে বসেছিলেন। সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর করে। তিনি পার্টি অফিসের সামনেই লুটিয়ে পড়েন। তাঁর বাড়িতে খবর দেওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা মনোরঞ্জনবাবুকে উদ্ধার করে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, মনোরঞ্জনবাবু খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। এলাকায় কোনওদিন অশান্তিতে মদত দেননি। দলের লোকজন ঝামেলা করলে তা রুখে দিতেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে কেন খুন হতে হল সেটা রহস্যের।
এক তৃণমূল কর্মী বলেন, এলাকায় নেতৃত্ব দিতেন মনোরঞ্জনবাবু। তাই তাঁকে সরিয়ে দিতেই পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে।
মৃতের স্ত্রী শিখা পাত্র বলেন, গত কয়েকদিন আগে স্কুলের সামনে একটি ঘরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় বিজেপির কিছু লোক তাঁকে হুমকি দেয়। থানায় খবর দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও এই ঘটনা ঘটল।
এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ অভিষেকবাবু মনোরঞ্জনবাবুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। মৃতদেহের পাশে বসেই অভিষেক মৃতের স্ত্রী, ছেলে সহ আত্মীয়দের কথা শোনেন। এদিন হরিশচকে তৃণমূল নেতার বাড়িতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান। আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা ছিলেন।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেকবাবু বলেন, মনোরঞ্জনবাবু আমাদের দলের সম্পদ ছিলেন। তাঁকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। সিপিএমের হার্মাদরা বিজেপির জামা পরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে মনোরঞ্জনবাবুকে হুমকিও দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, কিছু ভোট পেয়ে তারা এখন বাংলাকে অশান্ত করতে নেমেছে। মোদি দিল্লিতে বসে বাংলাকে অবক্ষয় করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, মানুষ এর জবাব দেবে। গত আট বছরে বাংলায় এমন একটা ঘটনাও হয়নি। সিপিএমের সেই দমন পীড়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছেন। কিন্তু, বিজেপি সিপিএমের সেই ৩৪বছরের শাসন কাল ফিরিয়ে আনতে চাইছে। লোকসভা ভোটের নিরিখে খানাকুলে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। তারপরেও সন্ত্রাস করে সিপিএমের কায়দায় এলাকা দখলের লড়াইয়ে নেমেছে বিজেপি। সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপির জল্লাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনায় নজরদারি করছেন। সন্ত্রাসের বদলা সন্ত্রাস আমরাও করতে পারি। কিন্তু, আমরা তা করব না। আমরা বদলার রাজনীতি করলে এদের দূরবিন দিয়ে দেখা যাবে না।
পুলিসি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, পুলিসের একাংশের বিরুদ্ধে কিছু মানুষের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একজনও রেয়াত পাবে না। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় কেউ বাঁচাতে পারবে না। আমি আগামী ১০দিনের মধ্যে ফের খানাকুলে আসব। কতবড় হার্মাদ, জল্লাদ আছে দেখতে চাই।