উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
কিডনিতে সংক্রমণের জন্য বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে শনিবার দক্ষিণ শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা কল্পনা মুখোপাধ্যায়কে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু, ঠিকমতো পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ করেন কল্পনাদেবীর ছেলে রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। একাধিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হলেও বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ থাকায় সেসব করা যায়নি। এই অবস্থায় দিশাহীন হয়ে পড়েছেন তাঁরা। একইভাবে ভাতারের শিলাকোট গ্রাম থেকে ইদয় দাস নামে বিষ খাওয়া এক রোগীকে নিয়ে এসে চূড়ান্ত নাজেহাল হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রবিবার সকালে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা ডেন্টাল কলেজ চত্বর থেকে মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত মিছিল করেন। তারপর গত চার দিনের মতো তাঁরা ইউএসজি রুমের কাছে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন। কর্মবিরতির জেরে ইনডোরে নামমাত্র রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র সংকটাপন্ন রোগী ছাড়া অন্যান্যদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। কারণ, ইনডোর পরিষেবা সচল রাখার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা নেন জুনিয়র চিকিৎসকরাই। তাঁরা কর্মবিরতি আন্দোলনে শামিল হওয়ায় গোটা ইনডোর পরিষেবা শুধুমাত্র সিনিয়র চিকিৎসকদের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব। তাই সংকটাপন্ন ছাড়া অন্যান্যদের ভর্তির সুযোগ নেই।
গত চারদিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশকিছু অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বুধবার থেকে সেইসব অপারেশন বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন রোগী এবং রোগীর বাড়ির লোকজন। বর্ধমান-১ ব্লকের ফাগুপুর সংলগ্ন ইউসুফাবাদের জাহানারা বেগমের অর্শের সমস্যায় অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে তা বন্ধ রয়েছে। একইভাবে উখরার বাসিন্দা লক্ষ্মী হেমব্রম বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০জুন থেকে ভর্তি আছেন। পায়ে সুঁচ ফুটে আছে। ১৩তারিখ অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, অপারেশন হয়নি। একইভাবে বর্ধমানে অনাময় হাসপাতালে হার্ট, স্নায়ু বিভাগে রোগী বন্ধ পুরোপুরি বন্ধ।
এমনকী, ট্রমা কেয়ার সেন্টারেও রোগী ভর্তি নেই। প্রতিদিন অনাময় হাসপাতালে আউটডোরে কাতারে কাতারে রোগী ডাক্তার দেখাতে আসেন। দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকার হৃদ ও স্নায়ুরোগীদের ভরসাস্থল এই অনাময় হাসপাতাল। আউটডোরে লাইন দেওয়ার রগোগীদের মধ্যে অনেকেই নতুন আবার অনেকেই রুটিন চেকআপ করাতে আছেন। কারণ, হার্টের অপারেশনের পর রোগীদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। এখন সেই সব রোগীও সমস্যায় পড়েছেন।
ভুক্তভোগী রোগীরা চাইছেন, হাসপাতালে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হোক। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং অনাময় হাসপাতালে ইনডোর পরিষেবা খাতায় কলমে চালু থাকলেও বাস্তবে পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা চারদিন আউটডোর বন্ধ। আজ, সোমবার হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক হোক চাইছেন ভুক্তোভোগীরা।
হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ বলেন, এনআরএসের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে রাজ্য সকরারের বৈঠকের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি। সেই বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বের হলে তারপর পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে। আমরাও চাইছি, আমাদের হাসপাতালে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হোক।