উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে গত পাঁচ দিন ধরে বাঁকুড়া মেডিক্যালের ইন্টার্ন, পিজিটি এবং হাউস স্টাফ মিলিয়ে মোট প্রায় আড়াইশো জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দেওয়ায় হাসপাতালের ইন্ডোর পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। সার্জারি ওয়ার্ডগুলিতে সামান্য ক্ষতস্থানে ‘ড্রেসিং’ পর্যন্ত হচ্ছে না বলে রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ। অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয়া তথা রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক নার্স এদিন ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তাঁকে ড্রেসিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে রোগীর পরিবারের অভিযোগ। ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ির বাসিন্দা তথা বাইক দুর্ঘটনায় জখম ওই রোগীর পরিবারের তরফে এদিন বাঁকুড়ার জেলাশাসক তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান উমাশঙ্কর এসের কাছে এদিন অভিযোগ জানানো হয়। এই অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর আশঙ্কায় রোগীদের একাংশ ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নার্সরা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোয় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় সিনিয়র চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানোর ফলে রোগীদের অসহায় অবস্থা আরও করুণ হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার হাসপাতালের আউটডোর খুঁড়িয়ে চললেও জুনিয়র ডাক্তারদের বাধায় শুক্র ও শনিবার আউটডোরে একজনেরও চিকিৎসা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের বেপরোয়া মনোভাবের জেরে সিনিয়র চিকিৎসকরাও পিছু হঠেন। ধর্মঘটীদের ভয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আউটডোর খোলার ‘সাহস’ পাচ্ছে না বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ কার্যত আন্দোলনকারীদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বলে আধিকারিকরা জানান। এদিন সন্ধ্যা নাগাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম প্রধান অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে যান। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ২২জন অধ্যাপক-চিকিৎসকের গণ ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন। পদত্যাগীদের মধ্যে ৫-৬ জন বিভাগীয় প্রধান রয়েছে বলেও তিনি জানান। পরে সাংবাদিকদের অধ্যক্ষ বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে আমরা সর্বোতভাবে সমর্থন করি। তাঁদের দাবিদাওয়া যুক্তিপূর্ণ। সবরকম পরিস্থিতিতেই আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি। জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলেও ইন্ডোরের পরিষেবা সচল রয়েছে। তবে পরপর দু’দিন আউটডোর খোলেনি। ২২ জন অধ্যাপক চিকিৎসক আমার কাছে গণ ইস্তফা দিয়েছেন। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব।