উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ঘটনা-২: বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতাল থেকে শনিবার অনাময় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল আউশগ্রাম-২ ব্লকের উত্তর রামনগর গ্রামের ১৩বছর বয়সি ঋষভ মাঝিকে। ১৩জুন বাড়িতে পড়ে গিয়ে শরীরে বাঁদিক পুরোপুরি অসাড় হয়ে গিয়েছে। হার্ট এবং স্নায়ুর সমস্যা রয়েছে। সেজন্য অনাময় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু, গত তিন-চার দিন অনাময় হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ। খোলা আকাশের নীচে শুয়ে রয়েছে ঋষভ।
গত তিনদিনের মতো শনিবারও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা স্তব্ধ ছিল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য রোগী আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর জন্য হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও ওপিডি পরিষেবা সচল না হওয়ায় রোগীরা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তবে, ইমার্জেন্সিতে রোগী দেখেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। সুপার উৎপল দাঁ নিজেও ইমার্জেন্সিতে গিয়ে রোগী দেখেছেন। তবে, ইমার্জেন্সিতে রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এই সুযোগে বর্ধমান শহরে খোসবাগানে নার্সিংহোমগুলিতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। গ্রামে গ্রামে হাতুড়ে চিকিৎসকদেরও এখন সুসময় চলছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারের সংখ্যা ৭০০। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং অনাময় হাসপাতালে দৈনন্দিন পরিষেবার ক্ষেত্রে এই ৭০০চিকিৎসক মূল ভূমিকা নেন। টানা চারদিন তাঁদের আন্দোলনের জেরে হাসপাতালে পরিষেবা ভীষণ ব্যাহত হচ্ছে। অনাময় হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ২০টি বেড। সেখানে রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু, বিভিন্ন বিভাগে রোগী ভর্তি সেভাবে না হওয়ায় এই মুহূর্তে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে মাত্র ন’জন রোগী ভর্তি আছেন। একই ছবি হার্ট এবং নিউরো বিভাগেও। ওই দু’টি বিভাগে ইনডোরে বেড পেতে হিমশিম খেতে হতো। এখন দু’টি বিভাগে ইনডোর খাঁ খাঁ করছে। রোগীকে রেফার করার পরও ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।
শনিবার গলসির মনোহর সুজাপুর গ্রাম থেকে শেখ জানে আলম বুকে ব্যথা নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগে আসেন। সেখান থেকে তাঁকে অনাময় হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু, অনাময়ে রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য বাইরে শুয়েছিলেন জানে আলম। একইভাবে আউশগ্রাম-২ ব্লকের উত্তর রামনগর গ্রামের ১৩বছর বয়সি ঋষভ মাঝির বাবা প্রশান্ত মাঝি বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অনাময়ে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু, এখানে রোগীভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় আমরা সমস্যায় পড়ে গিয়েছি।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, এদিনও আউটডোর বন্ধ ছিল। যদিও ইমার্জেন্সি বিভাগ চালু করার পর সেখানে টিকিট করে বেশকিছু রোগী দেখা হয়েছে। তবে, পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে রোগীর ভিড় অনেকটাই কম। সিনিয়র চিকিৎসকরা একযোগে কাজ করছেন। আমাদের হাসপাতালে ৭০০জুনিয়র চিকিৎসক। পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা নেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করার ফলে তার প্রভাব পড়বেই।