রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে উত্তরাদেবীর পায়ে জল জমে যাওয়ায় ২ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোরে তাঁকে দেখানো হয়। মৃতার ছেলে দীপক মাহাত বলেন, ওই দিন চর্ম বিশেষজ্ঞ মাকে সেভাবে না দেখেই কুষ্ঠ রোগ হয়েছে বলে চিল্কিগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। সেই মতো চিল্কিগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ খাচ্ছিলেন মা। ওষুধ খাওয়ার এক মাস পর থেকেই তাঁর শরীরের চামড়া ফাটতে থাকে। এ মাসের ৩ তারিখ তাঁকে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর চিকিৎসকের নির্দেশ মতো তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে মা চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শারীরিক অবস্থার খাপার থাকায় নিয়ে যাওয়া যায়নি। বুধবার সকাল ১১টা ৫ মিনিট নাগাদ উত্তরাদেবী মারা যান।
মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই উত্তরাদবীর তিন ছেলে সহ আত্মীয়স্বজন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উত্তরাদেবীর ছেলে দীপক ও কার্তিক মাহাত বলেন, মায়ের কুষ্ঠ হয়নি। কুষ্ঠ রোগের ওষুধ খাওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটল।
ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সুপার মলয় আদক বলেন, মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যে কোনও সময় কুষ্ঠরোগীর এই শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ওই রোগীর মাল্টি বেসিলারি লেপ্রোসি হয়েছিল। মৃত্যুর আগে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি। সুপার বলেন, আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা করেছিলাম। ঘটনার তদন্ত করা হবে।