পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন দুপুরে খড়্গপুর থেকে বাইক মিছিল করে দিলীপবাবুকে ডেবরায় নিয়ে আসা হয়। দিলীপবাবু এসে পৌঁছাতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে তাঁকে মালা পরিয়ে ও ফুল ছুঁড়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ব্যবসায়ী সমিতির ছোট সভাকক্ষে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। ফলে এদিন সভার শুরু থেকেই চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তার উপর ছিল মাইক্রোফোনের সমস্যা। মাঝেমধ্যেই তাতে কথা শোনা যাচ্ছিল না। সভার বাইরের রাস্তাতেও ভিড় উপচে পড়ে এদিন। এক সময় স্টেশন যাওয়ার রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সভা শুরু হতেই সিপিআই, সিপিএম ও তৃণমূল থেকে কর্মীদের যোগদানপর্ব শুরু হয়। এই সব দল থেকে আসা কয়েকজন কর্মীর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন দিলীপবাবু।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ কর অবশ্য বলেন, যাঁদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তাঁদের সঙ্গে দলের অনেক দিন ধরেই কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এতে আমাদের দলে কোনও প্রভাব পড়বে না।
এদিন দিলীপবাবু বক্তব্য রাখতে শুরু করলে বারবার মাইক্রোফোন বিগড়ে যায়। এই ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ দেখায় তাঁকে। এর সঙ্গে যোগ হয় কর্মীদের বিশৃঙ্খলা। বক্তব্য থামিয়ে দিলীপবাবু বারবার কর্মীদের চুপ করে বসার নির্দেশ দেন। কিন্তু, তাতে কোনও কাজই হয়নি। বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকে। এক সময় দিলীপবাবুর নিরাপত্তারক্ষীরা কয়েকজন কর্মীকে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেন। কিন্তু, তাতেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বিশৃঙ্খলা চলতেই থাকে। নেতাদের টেবিলের কাছে কর্মীরা কার্যত হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এক সময় দিলীপবাবু টেবিলে মাইক্রোফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সভা ছেড়ে চলে যান। ফলে, সভা পণ্ড হয়ে যায়।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। যদি মানুষের জীবনের সুরক্ষা না থাকে, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করবে। এনআরএস কাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তাররা আন্দোলন শুরু করেছেন। এখানে ডাক্তার, রোগী কারও কোনও নিরাপত্তা নেই। প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসফল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছেন। পুলিস দিয়ে ভয় দেখিয়ে মানুষকে আটকে রাখছেন। যদি এরকম চলতে থাকে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করবে।
দিলীপবাবু বলেন, আমরা ৩৫৬ ধারার কথা বলিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। কারণ যেভাবে প্রশাসন চালাচ্ছেন তাতে ৩৫৬ লাগতে পারে। তাই ভয়ে তিনি নিজেই ৩৫৬ ধারার কথা বলছেন।