পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণত এই ধরনের মাকড়সা দেখা যায় না। বিরল প্রজাতির এই মাকড়সাটি চার ইঞ্চি লম্বা। তার আটটি পা রয়েছে। মাথার সামনের দিকে রয়েছে দু’টি শুঁড় ও লাল চোখ। এছাড়া, হলুদ কালো ডোরাকাটা শরীরের সম্পূর্ণটাই লোমে ঢাকা। কানু বিশ্বাস বলেন, সোমবার রাতে বাড়িতে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ছিলাম। সেই সময় আমার বড় মেয়ে আট বছরের অন্বেষা হঠাৎই ঘরের মেঝেতে অদ্ভুত প্রকৃতির মাকড়সা দেখে চিৎকার শুরু করে। এরপর বহুকষ্টে ওই মাকড়সাটিকে ধরে বন্দি করি। সাধারণত এই ধরনের মাকড়সা এই এলাকায় আগে কখন দেখা যায়নি। এই ধরনের মাকড়সা এলাকায় আরও আছে কিনা, তা দেখার ব্যাপারে বনদপ্তরকে বলা হয়েছে। গৃহকর্ত্রী সুলেখাদেবী বলেন, বর্তমানে এই মাকড়সা দেখবার পর রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি আমরা। এত বড়, সারা শরীর লোমে ঢাকা এমন মাকড়সা এর আগে কখনও দেখিনি। দেখে যা মনে হচ্ছে, এটি বিষাক্ত প্রজাতির। এদিকে, সোমবার রাত থেকেই নতুন প্রজাতির মাকড়সা দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় জমান বিশ্বাস বাড়িতে। মঙ্গলবার সকালেও স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি পতঙ্গপ্রেমী বহু মানুষ মাকড়সা দর্শনে আসেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৭ জানুয়ারি চাকদহ পিকনিক গার্ডেন এলাকা থেকে উদ্ধার হয় একটি বিরল প্রজাতির মাকড়সা। উদ্ধার হওয়া সেই মাকড়সাটিকে পরে চাকদহ কলেজের প্রাণিবিভাগের পরীক্ষাকেন্দ্রে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সাধারণত সেই মাকড়সা প্রজাপতি অস্ট্রেলিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। এটি কামড়ালে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এরপর গত বছর সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ চাকদহ থানার বিষ্ণুপুর এলাকায় বিরল প্রজাতির একটি মাকড়সা উদ্ধার হয়। ওই মাকড়সাটি ছিল ট্যারান্টুলা প্রজাতির। এছাড়াও বছর দু’য়েক আগে শান্তিপুর থানার ফুলিয়াতে বর্তমান নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডুর বাড়ির পাশেও একটি বিরল প্রজাতির লোমশ মাকড়সা উদ্ধার হয়। এর আগেও পশ্চিম মেদিনীপুরে ও নদীয়া জেলাতেও বেশ কয়েকবার ট্যারেন্টুলা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এদিন ফের মাকড়সা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
যে এলাকা থেকে এই মাকড়সাটি উদ্ধার হয়, তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জঙ্গল ও চাষের জমি আছে। কীভাবে বিরল প্রজাতির এই মাকড়সা এখানে এসেছে, তা নিয়ে নিজেদের মতো করে পতঙ্গপ্রেমীরা আলোচনা শুরু করেছেন। যদিও মাকড়সাটি কোন প্রজাতির মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত তা জানাতে পারেনি বনদপ্তর। এবিষয়ে বনদপ্তরের রানাঘাট রেঞ্জ অফিসের একজন কর্মী সুবীর সাহা বলেন, আমরা নিজেরাও সাধারণত এই ধরনের মাকড়সা কোন প্রজাতির তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে বুধবার মুর্শিদাবাদ রানাঘাট ফরেস্ট রেঞ্জ আধিকারিকের রানাঘাটে আসার কথা আছে। তিনি আসার পর মাকড়সাটি কোন প্রজাতির তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।