কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে মানুরাবিবি নাতনি সহ ওই পরিবারের চার সদস্যের সঙ্গে অটোয় চেপে ধানতলা থানার কানাইপুর এলাকার থেকে বেলেডাঙা যাচ্ছিলেন। ধানতলা থানার দৌলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটো থেকে ছিটকে পড়েন ছোট্ট আফরিন ও তার দিদা মনুরা মণ্ডল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে আনা হলে সেখানেই দিদা ও নাতনির মৃত্যু হয়। আফরিনের মা আরজিনা মণ্ডল বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে আমি রানাঘাট থানার হবিবপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে কানাইপুরে বাবারবাড়িতে দুই মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলাম। স্বামী আব্দুল রশিদ মণ্ডল কর্মসূত্রে কাতারে থাকেন। মা ও দুই মেয়েকে নিয়ে অটোতে চেপে ধানতলা বেলেডাঙায় বোন হাসিনা মণ্ডলের বাড়ি যাচ্ছিলাম। উল্টো দিক থেকে একটি ট্রাক এসে আমাদের অটোটিকে ধাক্কা মারে। মা ও মেয়ে অটোর সামনে থেকে ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিস আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুর্ঘটনায় একসঙ্গে মা ও মেয়েকে হারালাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দৌলার এই এলাকায় রাস্তায় বেশি বাঁক থাকায় প্রতিদিনই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত যাত্রী চাপিয়ে বেপরোয়াভাবে অটোগুলি যাতায়াত করছে। অভিযোগ, বেশিরভাগ অটোতে নির্দিষ্ট যাত্রীর তুলনায় অনেক বেশি যাত্রী তোলা হয়। রাস্তার বাঁক নেওয়ার সময় যাত্রীবোঝাই সেই অটো অনেক সময় উল্টে যায়। এদিন যে অটোটির সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়, সেটিতেও নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে অনেক বেশি যাত্রী ছিল।
রানাঘাট-ঘোলা রুটের এই রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে এর আগেও একাধিকবার সচেতনতামূলক শিবির হয়েছে। ধানতলা থানার পুলিস ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পথ নিরাপত্তা বিষয়ক একাধিক কর্মসূচি হয়েছে। পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই পুলিস ও প্রশাসনের উদ্যোগেও যান নিয়ন্ত্রণের জন্য নজরদারি চালানো হয়। বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্যও নজরদারি চালানো হয়। তারপরেও অতিরিক্ত যাত্রী বহনকারী অটোর দৌরাত্ম কমেনি। অটোর গতিও নিয়ন্ত্রিত হয়নি। অন্যদিকে, শুনশান এই রাস্তায় যানবাহনের গতির নিয়ন্ত্রণের জন্য চেকপোস্টের দাবি তুলেছেন দৌলাবাজার এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডল বলেন, এই এলাকায় রাস্তার বাঁক ঘোরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনগুলি চোখে দেখা যায় না। আর সেই কারণেই দৌলা এলাকাতে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা চাই এই রাস্তায় পুলিস স্থায়ীভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করুক।