বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শহরের ফলাফল ভালো হবে। গতবারের পিছিয়ে থাকা ভোটের অঙ্ককে ছাপিয়ে এবার লিড থাকবে এটুকু বলতে পারি। তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি অমিত চক্রবর্তী বলেন, এদিন আমরা সমস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। এবার শহর থেকে আমাদের লিড থাকবে নিশ্চিত। কিন্তু কত লিড হবে তা এখন বলছি না।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী ডাঃ কামরে ইলাহিকে ৬৭ হাজার ২৬৩ ভোটে পরাজিত করলেও রামপুরহাট শহর থেকে প্রায় সাত হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূলের জয়ী সংসদ সদস্য শতাব্দী রায়। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের নিরিখে শহর থেকে মাত্র ২ হাজার ৭৪৩ ভোটে লিড পান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের ৫২টি বুথের মধ্যে ১৮টিতে পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল। এবার শহর থেকে শতাব্দী রায়কে লিড দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই ময়দানে নেমেছিল সবুজ শিবির। ওয়ার্ডের এক একটি পাড়া ধরে বৈঠকে করেছেন কাউন্সিলাররা। সেখানে পথসভা করেছেন কৃষিমন্ত্রী। প্রার্থী শতাব্দী রায়ও প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা করে উন্নয়নের নিরিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার আহ্বান জানান। শহরে রোড-শো করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। ২৯ এপ্রিল এই লোকসভার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এরপরই বিজেপি নেতারা দাবি করেন, শহরের ক্ষেত্রে গতবারের থেকে এবার তাদের লিড বেশি হবে। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি স্বরূপরতন সিনহা বলেন, ভোট পরবর্তী হিসেব করে দেখা গিয়েছে, শহর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে আমরা এগিয়ে থাকব।
এদিকে, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর এদিন দলীয় কার্যালয়ে পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারদের নিয়ে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী। সেখানে শহরের নেতৃত্বও উপস্থিত ছিল। দলের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে প্রত্যেক কাউন্সিলারদের কাছ থেকে মন্ত্রী জানতে চান, কোন ওয়ার্ডে কত লিড থাকবে। ১, ২, ৪, ৬, ৭, ৮, ১০, ১১, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা এগিয়ে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। যার মধ্যে সব থেকে বেশি ৪ নম্বর ওয়ার্ডে লিড থাকবে। বাকি ৩, ৯, ১২ ও ১৮ নম্বরে দল পিছিয়ে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও পরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের স্বামী তথা দলের শহর কার্যকরী সভাপতি সৌমেন ভকতকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ২০১৪ লোকসভা ভোটের নিরিখে ৪ নম্বর ওয়ার্ড বাদে সবকটি ওয়ার্ডেই আমরা পিছিয়েছিলাম। আমার ওয়ার্ডে ৪৫০-এর বেশি ভোটে মাইনাসে ছিলাম। পরে অবশ্য পুরসভা নির্বাচনে ৯৫০ ভোটে এগিয়ে যায় এই ওয়ার্ড। এবার এই ওয়ার্ড থেকে শতাব্দী রায়কে আমরা লিড দেব। এছাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। লিড না থাকলেও এই দুটি ওয়ার্ডে দুই দলই প্রায় সমান সমান ভোট পাবে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন সেখানকার নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। বহু বছর ধরেই এই ওয়ার্ডে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে আসছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটি বরাবরই সিপিএমের দখলে রয়েছে। তাই এবার দুটি ওয়ার্ডেই বাড়তি নজর ছিল শাসকদলের। কিন্তু এবারও এই দুটি ওয়ার্ড নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব খুব একটা আশাবাদী নন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কিছু ওয়ার্ডে দল পিছিয়ে থাকলেও শহরে ৫ থেকে ৬ হাজার ভোটে লিড থাকবে বলে এদিন ভোট পরবর্তী পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। স্বভাবতই বৈঠকের পর তৃণমূল নেতাদের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে। আগামী বছর এই পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। স্বভাবতই তার আগে এই নির্বাচন অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ শাসকদলের কাছে।