বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, আমরা ‘১৯৫০’ টোল ফ্রি নম্বরে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। সি-ভিজিলে কিছু অভিযোগ এসেছে। তবে মানুষের কাছে যেটা সহজ মনে হয়েছে, তার ব্যবহারই বেশি হয়েছে।
গুগল প্লে স্টোর থেকে সি-ভিজিল অ্যাপ ডাউনলোড করে নিয়ে বিধিভঙ্গ বা নির্বাচন সংক্রান্ত অন্য অভিযোগের বা ঘটনার স্থির ছবি বা ভিডিও ক্লিপিং দিয়ে অভিযোগ জানানো যেত। কমিশনের নির্দেশে, অভিযোগের ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, অভিযোগকারী তা জানতেও পারবেন। ভোটপর্বের অভিযোগ জানতে সি-ভিজিল অ্যাপের উপরে অনেকটাই ভরসা করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অথচ ভোটের আগেও রাজ্যে আমজনতার কাছে সেই অ্যাপের কথা না পৌঁছানো নিয়ে অসন্তোষ চেপে রাখেননি কমিশনের কর্তারা। ভোট শুরুর আগেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অফিসকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে সি-ভিজিল অ্যাপের প্রচার নিয়ে সাতদিনের মধ্যে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
এই অ্যাপের প্রথম ব্যবহার হয় ২০১৮ সালে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে। তাতে সাফল্যও মিলেছিল বলে দাবি করেছেন কমিশনের কর্তারা। তবে কি জেলায় প্রচার বা সচেতনতার ঘাটতি ছিল? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, সি-ভিজিল নিয়ে যথেষ্টই প্রচার হয়েছে। আসলে সি-ভিজিলে অভিযোগ করতে গেলে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই অভিযোগ করতে হয়। এক্ষেত্রে এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর পক্ষে একটা সমস্যা রয়েছে। সব জায়গায়, সব পরিস্থিতিতে এটা সম্ভব নয়। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দ্রকোণা বিধানসভায় ভোটের দিন সি-ভিজিলে অভিযোগ জমা পড়েছিল মাত্র তিনটি।
এদিকে সার্বিকভাবেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় অভিযোগের সংখ্যা কমেছে। জেলায় আসা মোট অভিযোগের সংখ্যা ৪৭৭। অভিযোগের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়নি। মূলত, ১৯৫০ টোল ফ্রি নম্বরেই এই অভিযোগ এসেছে। এর মধ্যে শুধু কেশপুর থেকেই এসেছে ৮১টি অভিযোগ। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগের সংখ্যা এবার অনেক কমেছে। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটেও দেড় হাজারের উপরে অভিযোগ এসেছিল। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও অভিযোগ এসেছিল হাজারের উপরে। কিন্তু, এবার অভিযোগের সংখ্যাটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। বেশির ভাগ অভিযোগই করেছে বিজেপি, তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, এর আগে বিধানসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছেও ফোনের পর ফোনে অভিযোগ আসত। এবছর তাঁদের কাছেও অভিযোগ এসেছে অনেকটাই কম।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ভোট ভালো হয়েছে। ঘাটাল কেন্দ্রের কেশপুরে বিজেপি প্রার্থী গিয়ে উত্তেজনা না ছড়ালে জেলার কোথাও অশান্তিই হতো না। স্বাভাবিকভাবে অভিযোগ কমবে। বিজেপির জেলা নেতা অরূপ দাস বলেন, সি-ভিজিলে অভিযোগ করা সময়সাপেক্ষ। সবসময় সম্ভব না। আমাদের কাছে ১৯৫০ নম্বরে ফোন করা বেশি সুবিধার মনে হয়েছে।