বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গত কয়েক দিনে নদীয়ায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। প্রবল দাবদাহ চলছে জেলাজুড়ে। তাই এই দাবদাহে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে চালু করা হয়েছে পান্তাশ্রী। ইসকন কর্তারা বলছেন, পান্তাশ্রী নামটা এসেছে শ্রী যুক্ত করে। যেভাবে শ্রীখোল, শ্রীধাম, শ্রীকৃষ্ণ নামকরণ। এই পান্তাশ্রী খাওয়ার জন্য প্রতিদিন লাইন পড়ছে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পান্তা ভাত খাওয়ানো হয় ইসকনে। ভক্ত বা সাধারণ পর্যটকরা এই পান্তা ভাত খান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। খাওয়ার জায়গায় কোনও অনুদান বাক্সও রাখা হয়নি।
পাতে থাকছে পান্তা ভাত, আলুসিদ্ধ, ভাজা, লেবু, চাটনি, শুকনো লঙ্কাপোড়া। বিভিন্ন দিন ভাজা পরিবর্তিত হচ্ছে। ইসকন কর্তারা বলেন, প্রবল দাবদাহ চলছে। পান্তা খেলে আমাদের শরীর মন উভয়েই ঠিক থাকে। পেট ঠান্ডা রাখে। পান্তায় এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারি। এই পান্তা খেয়ে ভক্তরা রোদ্দুরের মধ্যেও কাজ করছেন। মাঠে ঘাটে যেসব চাষিরা কাজ করছেন, তাঁরা নিয়মিত পান্তা খান। তাঁদের দেখে আমরা শিখেছি। তাই এখানেও পান্তাশ্রী চালু করা। ভক্তদের তরফেও একটা অনুরোধ ছিল। এখন পান্তাশ্রী জয়প্রিয় হয়ে উঠেছে। আগামী দিনে পান্তাশ্রী খাওয়া ভক্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।
সোমবার পান্তা খেয়ে প্রশংসা করলেন এক ভক্ত। অনীতা সরকার নামে ওই ভক্ত বলেন, গরমের মধ্যে পান্তা ভাত খুবই উপকারি। আলুসিদ্ধ দিয়ে পান্তা খেতে খুব ভালো লাগে। আমরা এই পান্তাভাত প্রায়শই খাই। ইসকনের দয়া মন্দিরের মুখ্য কো অর্ডিনেটর জগদ্ধাত্রীয়া দাস বলেন, পান্তাশ্রী আমাদের বেশকিছু দিন ধরেই চলছে। পান্তাশ্রী খেয়ে ভক্তদের শরীর ও মন ভালো থাকে। বিনামূল্যে এই পান্তা ভাত খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন গড়ে ৩০০জন পান্তাশ্রী খাচ্ছেন। তবে আরও বেশিজনকে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। পাঁচ হাজার জন পর্যন্ত পান্তাশ্রী খেতে পারেন।
এদিকে, অক্ষয় তৃতীয়া থেকে ইসকনে শুরু হয়েছে চন্দনযাত্রা। চলবে আগামী ২৭মে পর্যন্ত। গরমের কারণে প্রতিটি মন্দিরের বিগ্রহগুলিতে চন্দন লেপন করা হয়। ২১ দিনের চন্দন লেপনে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ইসকন কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত বিগ্রহগুলিকে একটি পুকুরে নিয়ে গিয়ে নৌকা ভ্রমণ করানো হয়। নৌকা ভ্রমণের সময় চলে নাম সংকীর্তন। চন্দনযাত্রা উপলক্ষে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার ভক্তকে প্রসাদ বিতরণ চলে। চন্দনযাত্রা দেখতে প্রতিদিনই দেশ বিদেশের ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন।
ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, চন্দনযাত্রা প্রাচীন রীতি। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবও এই চন্দনযাত্রায় অংশ নিতেন। গরমের কারণেই বিগ্রহগুলিতে চন্দন লেপন করা হয়।