বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, গোঘাটের দু’টি ব্লকে রাজনৈতিক মানচিত্র ভিন্ন রকমের। তাই লোকসভা ভোটের ফল কেমন হতে পারে তা আগেভাগেই অনুমান করতে অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে একটি ফরম্যাট পাঠানো হয়েছে। সমস্ত বুথের ফলাফল কেমন হতে পারে তা অবিলম্বে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
তৃণমূলের গোঘাট-২ ব্লক সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলের রিপোর্ট জমা পড়ছে। আমরা সেগুলি খতিয়ে দেখে দলের বিধানসভা কমিটির কাছে পাঠাব।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটে গোঘাটে তৃণমূল প্রায় ৩০হাজার ভোটে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী বিশ্বনাথ কারককে পরাজিত করে। যদিও ২০১১সালেই আরামবাগ মহকুমার বাকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলি তৃণমূল নিজেদের দখলে পায়। এবার তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে বিজেপি ময়দানে আসায় লড়াই যথেষ্ট কঠিন হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। শুধু গোঘাট নয়, মহকুমার বাকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও তৃণমূল জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকলেও মার্জিন অনেকটাই কমবে বলে দলের অধিকাংশ নেতৃত্ব মনে করছে।
তাই উৎসুক নেতৃত্ব আগেভাগেই নিজেদের সাফল্য নিয়ে নিশ্চিত হতে চায়। গোঘাট বিধানসভা তৃণমূলের তরফে তাই প্রত্যেক অঞ্চলের কাছে লিখিতভাবে সেখানকার ভোটের স্ক্রুটিনি জানাতে বলা হয়েছে। দলের তরফে দেওয়া ওই ফরম্যাটে মোট কত ভোটার, কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেই তথ্য যেমন জানাতে হবে তার সঙ্গে তৃণমূল সহ বিরোধী দলগুলি কত ভোট পাবে তার সংখ্যাও জানাতে হবে। লিডের পরিমাণও লিখতে হবে ওই ফরম্যাটে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে মহকুমার মধ্যে গোঘাটেই সবচেয়ে বেশি প্রচারের চাকচিক্য দেখা যায়। গোঘাটের বিধায়কের নেতৃত্বে সকাল বিকেলে সেখানকার দু’টি ব্লকের ১৬টি অঞ্চলে প্রচার করা হয়। আরামবাগ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার খুব বেশি সময় সেখানে দিতে না পারায় বরং কর্মীরা অনেকটা হতাশ হন। তা সত্ত্বেও বিধায়ককে নিয়েই প্রতি অঞ্চলে পাড়া বৈঠক, মিছিল, পথসভা করা হয়। বিরোধীরা শাসক দলের প্রচারের সেই তালিকার ধারে কাছেও আসতে পারেনি। তুলনামূলকভাবে বামেরা বেশকিছু কর্মসূচি গোঘাট বিধানসভাজুড়ে করেছে।
অনেকেই বলছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মাটি উর্বর করতেই বিধায়ক এবারের নির্বাচনে গোঘাটে পড়ে থেকেছেন। তবে দলের একাংশের দাবি, বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভিতরে ভিতরে বিজেপি হাওয়া বয়ে গিয়েছে। তাছাড়া গোঘাটে বরাবরই বামেদের শক্ত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামাতেও তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা করেছে। খোদ বিধায়ক গোঘাটের একাধিক বাম নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাই ভোটের পর ফলাফল নিয়ে গোঘাটে তৃণমূলের অপেক্ষার বাঁধ ভেঙেছে। তবে দলের তরফে দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে আদৌ বাস্তবের মিল হয় কি না তারজন্য আগামী ২৩মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।
গোঘাটের কুমারগঞ্জ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মোহন মণ্ডল বলেন, দলের নির্দেশমতো আমরা প্রত্যেক বুথের আনুমানিক ফল ওই ফরম্যাটে লিখে দলকে জমা দিয়েছি। আমাদের অনুমান, এই অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার ভোটের লিড থাকবে।