বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কথিত আছে, ৩০ বছর আগে বৈশাখের তপ্ত দুপুরে আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি। নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল বহু পরিবার। আগুনের গ্রাসে পরনের কাপড় ছাড়া সবই পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসিন্দাদের। ভগবান রুষ্ট হওয়ায় এই অঘটন ঘটেছে, এই বিশ্বাসে গ্রামের মানুষ ভিক্ষা করে অর্থ সংগ্রহ করে হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করে। সেই থেকে আজও এই উৎসব পালন করে আসছেন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা কিশোরীমোহন পাল বলেন, তিনদিন ধরে অন্নপূর্ণা মন্দির প্রাঙ্গণে ২৪ ঘণ্টা ধরে বহিরাগত শিল্পীর দ্বারা হরিনাম সংকীর্তন ও বাউল অনুষ্ঠান হয়েছে। এদিন সকালে কুঞ্জভঙ্গ ও বিকেলে ধুলোট এবং রাতে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে এই উৎসবের প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার নবকুমার মণ্ডল। ওঁর এখন যথেষ্ট বয়স হয়েছে। বর্তমানে একটি কমিটি গড়ে এই উৎসব হয়ে আসছে। গ্রামের বাসিন্দারা সাধ্যমতো চাঁদা দেন। এছাড়া আশেপাশের গ্রাম থেকে ভিক্ষা করে চাল, ডাল ও অর্থ একত্রিত করা হয়। গ্রামের আদিবাসীরাও এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। গ্রামের বাসিন্দা মনোজ মণ্ডল, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, চিন্ময় পাল বলেন, দুর্গাপুজোর থেকেও এই উৎসবে আমরা বেশি আনন্দ উপভোগ করি। কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন বা শহরে বাড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করেছেন, তাঁরাও এই দিনটিতে গ্রামে আসতে ভোলেন না। এক মিলন মেলায় পরিণত হয় গোটা গ্রাম। যখন থেকে এই উৎসব হয়ে আসছে, তবে থেকে এই গ্রামে কোনও অমঙ্গল কিছু ঘটেনি।