বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিন কেটনা আদর্শপল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে সকাল থেকে ভোটারদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যায়। এখানে ভোট চলাকালীন সামান্য গণ্ডগোল হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দেন। জুজুটির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৪ নম্বর বুথেও সকাল থেকেই ভোটাররা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। লক্ষ্মী বাউড়ি নামে এক মহিলা বলেন, সকালে আবহাওয়া ভালো রয়েছে। তাই, সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি। রাঘবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৩ নম্বর বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বিজেপি। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্দল এজেন্ট ছিলেন। নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট বংশেশ্বর রায়কে প্রার্থীর নাম জিজ্ঞাসা করতেই চমকে ওঠেন। কিছুক্ষণ পর হাতে লিখে রাখা নাম দেখে নির্দল প্রার্থীর নাম বলেন তিনি। সকালেই ডালিমগড়িয়া কালীমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৯ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসেন ৮৬ বছরের বৃদ্ধা দলবালা ঘোষ। তিনি বলেন, ভোট দিতে আসতে কষ্ট হয়েছে। তবে, এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেই অধিকার প্রয়োগ করতে এসেছি। উড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথ চত্বরের মধ্যেই তৃণমূলের লোকজন ভোটারদের নকুল দানা ও জল খাওয়ায়। এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতরে তৃণমূল প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ পড়ে বসেছিলেন দলের এজেন্ট। এনিয়ে আপত্তি তোলেন অন্য এজেন্টরা। এখানেই বুথ থেকে কিছুটা দূরে শাসকদলের লোকজন ইভিএম নিয়ে প্রচার করে। মসজিদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যায়। ৮ টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে। পরে বর্ধমান থেকে বিশেষজ্ঞ গিয়ে ইভিএম মেরামত করার পর ভোটগ্রহণ ফের শুরু হয়। তাহারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূলের এজেন্টের গণ্ডগোল হয়। এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সেক্টর অফিসের মধ্যস্থতায় তৃণমূলের এজেন্টকে ফের বসতে দেওয়া হয়। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলে শাসকদল। এনিয়ে বুথে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএসএফের জওয়ান ভীম সিং। তিনি বলেন, ওই এজেন্ট বুথের মধ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করছিল। বেশ কয়েকবার সতর্ক করার পরও কথা না শোনায় তাকে বের করে দেওয়া হয়। তারই বদলা নিতে এধরনের প্রচার করা হচ্ছে।
মিঠাপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে তৃণমূলের এজেন্ট দলীয় প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ বুকে এঁটে বসেছিলেন। এনিয়ে অন্য দলের এজেন্টরা আপত্তি জানান। প্রিসাইডিং অফিসার পার্থসারথি পাঁজা বলেন, বারবার বারণ করার পরও আমার কথা শোনেননি ওই এজেন্ট। মল্লিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথেও শাসকদলের এজেন্ট দলীয় প্রার্থীর নাম লেখা ব্যাজ বুকে সেঁটে বসে ছিলেন। এনিয়ে অন্য এজেন্টরা আপত্তি জানানোয় শাসকদলের এজেন্ট ব্যাজ খুলে দেন। আদরাহাটি বিএস শিক্ষা নিকেতনের ৫ নম্বর বুথে বিজেপির ও সিপিএমের এজেন্ট ছিল না। মসজিদপুরের ১৩ নম্বর বুথে সিপিএমের তরফে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ছাপ্পায় মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।