বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাতে বাঘুয়াশোল ও জুনশোলা গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা একটি বোলেরো ও প্রায় ১০টি বাইকে করে ধবনী গ্রামে ঢোকে। তারা রমেন সিং ও তাঁর দাদা ধীরেন সিংকে নাম ধরে ডাকতে থাকে। সেই সময় রাতের খাবার খেয়ে রমেন হাত ধুচ্ছিলেন। ধীরেনবাবু বলেন, তৃণমূলের লোকেরা ভাইকে ভোট দেওয়ার জন্য বলছিল। কিন্তু ভাই জানিয়ে দেয়, দু’বছর আগে শৌচাগার তৈরির জন্য ১৮০০ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু শৌচাগার হয়নি। তাই তৃণমূলকে ভোট দেব না। তারপরই আচমকা ভাইকে লোহার রড দিয়ে মাথায় মারা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিন সকালে গ্রামে গিয়ে থমথমে পরিবেশ দেখা গেলেও ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে উৎসাহের কোনও খামতি ছিল না। ধবনী গ্রামের মধ্যে পুলিস মোতায়ন ছিল। আবার জুনশোলা বুথের আগে তৃণমূল ও বিজেপির প্রচুর পতাকা দেখা গেল। সকাল সকাল লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন মৃতের স্ত্রী বাসন্তী সিং, দাদা বীরেন সিং ও মা নিরলা সিং। তবে তখনও স্ত্রী ও মা জানতেন না যে রমেন মারা গিয়েছেন। মৃতের স্ত্রী ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে বলেন, রাতে খাওয়া দাওয়ার পর হাত ধোওয়ার জন্য স্বামী বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় গাড়ি ও বাইকে চেপে লোকজন এসে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু ভোট না দেওয়ার কথা বলতেই লোহার রড দিয়ে মারধর করে। বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কালীপদ শূরকে এদিন বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বেলিয়াবেড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, উনি মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এখন বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানো হচ্ছে। এদিন ভোট দেওয়ার পর বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সাভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের গ্রামে আগেও খুন হয়েছে। এই সরকার যখন যাবে তখন এই খুনের রাজনীতি শেষ হবে। তৃণমূল ২০১৯এ হাফ আর ২০২১এ সাফ হবে। তার পূর্বাভাস সব জায়গায়। আর তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, তারা সব জায়গায় হারছে। তাই এসব করছে।