উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী লাড্ডু বলতে উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, আরও কারখানা স্থাপন করে বিজেপি সরকার হয়তো শিল্পাঞ্চলকে সমৃদ্ধ করবে। কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টোটাই। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বা হিন্দুস্থান কেবলসে কান পাতলেই এখন শোনা যাচ্ছে শ্রমিকদের দীর্ঘশ্বাস। চোখে জল নিয়েই তাঁরা কোনওরকমে বেঁচে রয়েছেন। বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের কর্মী বিনয় মিশ্র বলেন, এখন একটি ডেকরেটর সংস্থায় কাজ করে কোনওরকমে সংসার চলছে। কী লাড্ডু যে পেয়েছি, তা আমাদের থেকে কেউ ভালো জানে না। সংসারের হাঁড়ি চড়ানোর জন্য ছুটে বেড়াতে হচ্ছে। এখনও বকেয়া পাইনি। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুরের এই সংস্থা বন্ধ হওয়ার সময় ২৫০জন স্থায়ী কর্মী ছিলেন। অস্থায়ী কর্মী ছিলেন ২২৫জন। কেউ এখন আর সুখে নেই। হিন্দুস্থান কেবলসের প্রাক্তন কর্মী দেবেন্দ্র চৌধুরী বলেন, আমাদের সঙ্গে কেন এরকম করা হল তার ব্যাখ্যা প্রধানমন্ত্রী সভা থেকে দিলে ভালো হয়। আশা জাগিয়েও আমাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার পরিণতি আমরা ভালোভাবেই টের পাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরে ২ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সভা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ওই সভায় শিল্প নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। তাতে ইস্পাতনগরী হতাশ হয়েছিল। তাই আসানসোলের সভা থেকেও তিনি আদৌ বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলি নিয়ে মুখ খুলবেন কিনা তানিয়ে অনেকেই ধন্দে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই শিল্পাঞ্চল সরগরম রয়েছে। এদিকে তাঁর আগের প্রতিশ্রুতিগুলি সামনে রেখে তুলোধনা করছে তৃণমূল। একটি সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক বলেন, উনি আগেরবার এসে বলেছিলেন হামকো বাবুল চাহিয়ে। কিন্তু তারপর কী হয়েছে তা আসানসোলের প্রতিটি মানুষ জানেন। শ্রমিকরা চোখে জল ফেলছেন। তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভাঁওতার জবাব এবার ভোটাররা দেবেন। যদিও বিজেপি নেতা তাপস রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। মাঠ ভিড়ে উপচে পড়বে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, গত নির্বাচনের আগে মোদির সভা ঘিরে অন্য উন্মাদনায় ফুটছিল খনি অঞ্চল। নতুন কিছু পাওয়ার প্রত্যাশায় আমজনতাও সেখানে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু এবার যেন সেই উন্মাদনায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় পোলো গ্রাউন্ড হয়তো উপচে পড়বে। কিন্তু খনি অঞ্চল সেই আবেগে আর ভাসবে না।