বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের কাছ থেকে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র ছিনিয়ে নেয় সিপিএম। সংখ্যালঘু প্রধান এই কেন্দ্রের অধীনে ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, হরিহরপাড়া, রানিনগর, ডোমকল, জলঙ্গি ও করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, রানিনগর ও জলঙ্গিতে কংগ্রেস ও সিপিএমের জোট হয়। যার সুফল হিসেবে ভগবানগোলা ও জলঙ্গি সিপিএম এবং মুর্শিদাবাদ ও রানিনগর কংগ্রেস কব্জা করে। হরিহরপাড়া, ডোমকল ও করিমপুরে জোট হয়নি। ত্রিমুখী লড়াইয়ে ডোমকল সিপিএম এবং হরিহরপাড়া ও করিমপুর তৃণমূল দখল করে। এই পরিসংখ্যান সামনে রেখে কংগ্রেসকে এই কেন্দ্র ছাড়তে নারাজ সিপিএম। তাই এবার আগেভাগেই প্রার্থী ঘোষণা করে সিপিএম প্রচারে নেমে পড়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা খানকে তারা প্রার্থী করেছে। ইতিমধ্যে সিপিএম প্রার্থী ময়দানে নেমে পড়েছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একপ্রান্ত থেকে আরএক প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ১০টি ব্লক, ৮০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তিনটি পুরসভা অবস্থিত। এই কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ১৯০৭টি। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট নিয়ে বুথস্তরে দলীয় নির্বাচনী কমিটি গঠনের কাজ প্রায় শেষ। পাশাপাশি, দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন ও পাড়া বৈঠক চলছে। সিপিএম প্রার্থী বলেন, তৃণমূল ও বিজেপিকে রুখতে এখানে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে লড়তে চাই। কয়েকদিন আগে এ ব্যাপারে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। শীঘ্রই জেলাস্তরে বৈঠক করে রণকৌশল চূড়ান্ত করা হবে। অর্থাৎ, বুথস্তরে যৌথ নির্বাচনী কমিটি গড়া, মিটিং, মিছিল সহ নির্বাচনী প্রচার যৌথভাবে করার পরিকল্পনা রয়েছে। বড় সভা কমিয়ে যৌথভাবে ছোট ছোট সভা, পথসভা, পাড়া বৈঠক প্রভৃতির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছনোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে হরিহরপাড়া সহ কিছু জায়গায় যৌথ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের ভোট যাতে অন্যত্র না যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।
এদিকে, কংগ্রেস-সিপিএম যৌথভাবে প্রচারে নামেনি বলে অভিযোগ। এনিয়েই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেস ও সিপিএমের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আসনে জোটের ছবি স্পষ্ট হবে না। তাছাড়া, কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক ব্যক্তিকেন্দ্রিক। জোট হলেও সেই ভোটের ১০০শতাংশ সিপিএমে পড়বে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সেই ভোটের একাংশ তৃণমূলেও যেতে পারে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর সিপিএম এমনই অভিযোগ তুলেছিল। বর্তমানে সিপিএমের জেলা নেতারা অবশ্য বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় সার্বিক জোট হয়নি। কয়েকটি আসনে বোঝাপড়া হয়েছিল। সেইসব জায়গায় ভোটের ফলাফল ভালো হয়েছিল। এবার তৃণমূল ও বিজেপি ভোট এক জায়গায় আনার চেষ্টা চলছে।
অধীরবাবু বলেন, বদরুদ্দোজা সাহেবের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক। ভোট নিয়ে দু’বার ফোন করেছিলেন, কথাও হয়েছে। জোটের ব্যাপারে হাইকমান্ড যা বলবে তা মানা হবে। বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। কংগ্রেসের হরিহরপাড়া ব্লক সভাপতি মীর আলমগীর বলেন, লোকসভা ভোটের জন্য হরিহরপাড়ায় প্রায় ৫০০টি দেওয়াল দখল করা হয়েছে। সেই সব দেওয়াল ব্যবহার করতে চাইলে সিপিএমকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুথের কর্মীদের। তবে, গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল, কংগ্রেস কর্মীদের পিটিয়েছে। সন্ত্রাস চালিয়ে ডোমকল পুরসভাও তৃণমূল দখল করেছে। এসব কারণেই তৃণমূলের উপর সকলেই বীতশ্রদ্ধ। কাজেই, কংগ্রেসের ভোট আর তৃণমূলে যাবে না।