বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দুর্গাপুর থেকে সাফল্য পায়নি। ২০১৬ সালে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জোটপ্রার্থী ৫৪.৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন মাত্র ৯.১৯ শতাংশ ভোট। তাদের প্রাপ্তি ছিল ১৮ হাজার ৩১৩টি ভোট। তাই এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিএমের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে না পারলে তাদের যে কোনও লাভ হবে না তা বিজেপি নেতারা ভালোভাবেই জানেন। অন্যদিকে, দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএমের ভোট ছিল ৪৪.২১ শতাংশ। সেখানে বিজেপি ভোট পেয়েছিল মাত্র ১২.২৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে এই কেন্দ্রে ২৩ হাজার ৩০২টি ভোট পেয়েছিল তারা। তাই এই কেন্দ্রেও সিপিএমের ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে না পারলে তারা ফয়দা তুলতে পারবে না বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
বিজেপির এক জেলা নেতা বলেন, কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার পরেও ডিএসপি বা এএসপিতে শ্রমিক সংগঠন তৈরি করা যায়নি। ওই দুটি কারখানায় আইএনটিটিইউইসি এবং সিটুর সংগঠনই জোরালো। দুর্গাপুরের মতো শিল্পনগরীতে জোরালো শ্রমিক সংগঠন তৈরি করতে পারলে কখনও নির্বাচনে সাফল্যের মুখ দেখা যাবে না। জেলা নেতৃত্বও শ্রমিক সংগঠন মজবুত করার দিকে তেমন জোর দেয়নি। তবে সিপিএমের ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরানোর জন্য বিস্তর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাইরের বিস্তারকরাও সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলও মনে করছে, সিপিএমের ভোটব্যাঙ্কের উপরেই বিজেপির ভাগ্য নির্ভর করছে। বামেরা তাদের নিজেদের ভোট ধরে রাখতে পারলে তৃণমূল লাভবান হবে। আবার সেই ভোট বিজেপির দিকে ঢলে পড়লে গেরুয়া শিবির ইস্পাতনগরীর দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে যাবে। যদিও সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, আমাদের ভোট কোথাও যাবে না। কর্মী-সমর্থকরা আমাদের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন।
যদিও সিপিএমের অনেকেই মনে করছেন, ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখা তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্গাপুরের বিজেপির পালক পবন সিং বলেন, ওই শহরে আমাদের সংগঠন তৈরি হয়েছে। আমরা নিজেদের শক্তিতেই বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নিয়েছি। তাতে সাফল্যও পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইস্পাতনগরীর দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৪ সালে বিজেপি ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ২০৫টি ভোট পেয়েছিল। তৃণমূল ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫২১টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিল। সিপিএম পেয়েছিল ৪লক্ষ ৪৭হাজার ১৯০টি ভোট। বামেদের ওই ভোটব্যাঙ্ক তাদের দিকে টানার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব অঙ্ক কষতে শুরু করেছে।