বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
গত বিধানসভা নির্বাচনে কান্দি কেন্দ্র থেকে অপূর্ব এবং নওদা কেন্দ্র থেকে আবু তাহের কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন। কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরও তাঁরা বিধায়ক পদ ধরে রেখেছিলেন। এবার লোকসভা ভোটের ময়দানে অধীরকে বধ করতে তৃণমূল তাঁদেরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে লোকসভা ভোটের ময়দানে নামার আগে তাঁরা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এদিন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ভোটের ময়দানে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে তাঁরা আগেই ইস্তফা দিলেন।
আজ, থেকে তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ময়দানে নামবেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে বহরমপুরে দলের টাউন কংগ্রেস কার্যালয়ে দলের মহকুমা, ব্লক ও টাউন সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করবেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী অপূর্ব। তাঁর কেন্দ্রের অধীনে বহরমপুর ও কান্দি মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ অবস্থিত। মিনি ব্রিগেড সমাবেশের পরের দিন রবিবার জিয়াগঞ্জে সভা করবেন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী আবু তাহের। তাঁর কেন্দ্রের অধীনে লালবাগ, ডোমকল ও বহরমপুর মহকুমা অবস্থিত। একইভাবে সোমবার জঙ্গিপুরে সভা করবেন জঙ্গিপুর কেন্দ্রের প্রার্থী খলিলুর রহমান। তাঁর কেন্দ্রের অধীনে জঙ্গিপুর ও লালবাগ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে। দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস এদিন ওই বৈঠকগুলির ব্যাপারে দলীয় নেতাদের জানান।
বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, সারাবছর মানুষের সঙ্গে থাকি। লোকসভা ভোট নিয়ে ময়দানে অনেকদিন আগেই নেমেছি। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করব। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোকবাবু বলেন, একদা জেলার রাজনীতিতে অধীরের ‘রাম’ হিসেবে অপূর্ব এবং ‘রহিম’ হিসেবে আবু তাহের পরিচিত ছিলেন। তাঁরাই অধীরের সাম্রাজ্য সামাল দিতেন। উন্নয়নমূলক কাজ তদারকি করা সহ এই ‘যুগল’ ঝাঁপিয়ে পড়ে জেলা কংগ্রেসের ক্রাইসিস সামাল দিতেন। এবার তাঁদের মাধ্যমেই সিপিএম ও বিজেপির ‘দোসর’ অধীরের সাম্রাজ্য ধুলিসাৎ করব। এর প্রস্তুতি জোরকদমে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর মিনি ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূল। এদিন বহরমপুর ব্লকের গুরুদাসপুর ও ভাকুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে এ ব্যাপারে কর্মী সম্মেলন করা হয়। সম্মেলনে দলের বহরমপুর মহকুমা কমিটির সভাপতি অরিৎ মজুমদার, দলের ব্লক সভাপতি আশিস সরকার ও বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার অধিকারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজনা, ঢাক বাজিয়ে মিছিল করে কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেড সভায় আসবেন। কয়েকটি ব্লক রণপা, বাউল ও আদিবাসী নৃত্যের দল নিয়ে সভায় যোগ দেওয়ার কথা ভাবছে। রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, খাদ্যসাথী, রূপশ্রী, মানবিক প্রভৃতি প্রকল্পের কথা তুলে ধরে ভোট প্রচার করা হবে। পাশাপাশি, ওই সভায় জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীদের হাজির করানো হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ওই মিনি ব্রিগেড সমাবেশ করা হচ্ছে। জনস্রোতে ভাসবে বহরমপুর শহর।
এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহফুজ আলম বলেন, তৃণমূলের দুই প্রার্থী হাত চিহ্ন পকেটে নিয়ে অধীরদার আশীর্বাদেই বিধানসভা ভোটে জিতেছেন। এখন ধার করা নেতাদের নিয়ে তৃণমূল বাতেলাবাজি করছে। এতে কোনও লাভ হবে না। এবার লোকসভা ভোটে রেডর্ড ভোটে জিতবেন অধীরদা।