বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, দু’দিন আমাদের সম্মেলন রয়েছে। রাজ্যের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে ভোট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। শাসকদল মুখে যাই বলুক, তারা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। দেওয়াল লিখনে এগিয়ে থাকা মানেই ভোটে জেতা নয়। এবার মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।
অন্যদিকে, বিজেপির এই ধরনের কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, জেলায় ওদের কোনও লোক নেই। প্রচার করবে কাকে দিয়ে? যে দলের কোনও সংগঠন নেই, লোক নেই, তাদের রণকৌশল নিয়ে চিন্তা করতে আমরা রাজি নই। আমরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকি। তাই বিরোধীদের নিয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। জেলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় নিজেদের ভিত মজবুত করার কাজে নামে বিজেপি। প্রায় ছ’বছর আগের সেই ভোটের সময়ে দুই মণ্ডলের বাকযুদ্ধ আজও জেলার চর্চার বিষয়। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সংগঠনে টেক্কা দিতে না পারলেও বাকযুদ্ধে পিছিয়ে ছিলেন না বিজেপির তৎকালীন জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। যার ফসল গত লোকসভা ভোটে পেয়েছিল বিজেপি। লোকসভায় দুটি আসনে তৃতীয় স্থানে শেষ করলেও বীরভূম আসন থেকে তারা ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৫৩টি ও বোলপুর আসনে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৭৪টি ভোট পায়। সেবার বীরভূম লোকসভা আসনে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন বিজেপির তারকা প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পাঁচ বছর পর বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। সংগঠন আরও শক্তিশালী করে জেলার সর্বময় কর্তা হয়ে উঠেছেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে বিজেপির শক্তি। সংগঠন বিস্তারের আপ্রাণ চেষ্টা করেও দুধকুমারবাবুর মতো ডাকাবুকো জেলা সভাপতি হয়ে উঠতে পারেননি রামকৃষ্ণ রায়। তাই গতবারের ভোট ধরে রেখে কীভাবে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব তা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
যদিও গেরুয়া শিবিরের যুক্তি, জেলাবাসীর মধ্যে সরকার বিরোধী হাওয়া প্রবল হয়েছে। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোট না হওয়ায় সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে। জেলার বাসিন্দাদের সেই ক্ষোভকে ভোটবাক্সে ফেলতে পারলেই তৃণমূলের পরাজয় হবে। সেই লক্ষ্যেই এবার লোকসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। দুটি সম্মেলনেই ডাক পেয়েছেন বুথ শক্তি প্রমুখরা। সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বাধিক সাতটি বুথের দায়িত্বে থাকা ওই প্রমুখরাই বিজেপির নিচুতলার সংগঠনের ক্ষেত্রে প্রধান ভরসা। বীরভূম আসনের জন্য এমন ৩১০জন শক্তিপ্রমুখ রয়েছেন, বোলপুর আসনে জেলার ১৮২জন শক্তিপ্রমুখ রয়েছেন। সাঁইথিয়ায় বীরভূম আসনের শক্তিপ্রমুখ, বিভিন্ন মোর্চার সভাপতি, জেলা নেতৃত্ব সহ সব গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক হবে। বোলপুরেও ওই লোকসভা আসনের শক্তি প্রমুখদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানে থাকার কথা দলের রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায় সহ রাজ্যস্তরের নেতাদের।