বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার বলেন, যাতে বিল্ডিংটি দ্রুত হস্তান্তর হয় তার জন্য দরবার করা হয়েছে। আমরাও চাই পরিস্থিতির দ্রুত বদল ঘটুক।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সাম্মানিক সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, অবশ্যই হাসপাতালটির উন্নয়ন প্রয়োজন। বহু মানুষ উপকৃত হবেন। এখনও একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মতো এখানে পরিষেবা পাওয়া যায়। প্রবীণ আশ্রমিক ও লেখক স্বপন ঘোষ বলেন, এই হাসপাতালের উন্নয়ন হলে মানুষকে চিকিৎসার জন্য দূরদূরান্তে ছুটতে হবে না।
বিশ্বভারতীর কর্মিসভার সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার বলেন, উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় কর্তৃপক্ষ দরবারও করেছে। আশা করি দ্রুত জট কাটবে। হাসপাতালের চিপ মেডিক্যাল অফিসার এস এস দেবনাথ বলেন, আগে তো বিল্ডিং হস্তান্তর হোক, তার পর পরিকল্পনা করব।
কবিগুরু বিশ্বভারতীর আশ্রমিক পরিবেশে কেবল অভিনব শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলন করেছিলেন তা নয়, আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতেও উদ্যোগী হয়েছিলেন। উইলিয়াম ডব্লু পিয়ারসন ছিলেন তাঁর অত্যন্ত স্নেহভাজন। বিদেশ থেকে এসে তিনি বিশ্বভারতীতে শিক্ষকতাও করেছেন। সান্ধ্য স্কুলের ক্ষেত্রে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ১৯২৩ সালে পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নাড়া দেয় কবিগুরুকে। ১৯২৭ সালে বিশ্বভারতীতে তিনি গড়ে তোলেন পিয়ারসন মেমোরিয়াল হসপিটাল। সেখানে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অধ্যাপকদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও চিকিৎসা পরিষেবা পেতেন।
কিন্তু, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই হাসপাতাল আধুনিক হতে পারেনি। কেবল প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায়। অথচ এমনটি হওয়ার কথা নয়। কারণ, ২০০৮ সালে হাসপাতাল চত্বরে একটি বড় অংশ জুড়ে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠতে থাকে অ্যানেক্স বিল্ডিং। পরিকল্পনা ছিল এই বিল্ডিংয়ে আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বিল্ডিং রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় পূর্ত বিভাগকে। ২০১৩ সালে অ্যানেক্স বিল্ডিং বিশ্বভারতীকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু, ছ’বছর হয়ে গেলেও সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। বিল্ডিং নির্মাণ হওয়ার পর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু জানলার কাচ ভেঙে পড়েছে।
এই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ বিদেশের ১০ হাজারের অধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ১৮০০-র বেশি পেনশনভোগী রয়েছেন। অধ্যাপক ও কর্মীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই হাসপাতালটির উন্নয়ন ঘটলে সকলেই স্বস্তি পাবে। এতে একদিকে যেমন বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্ত মানুষজন বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন, তেমনি এলাকার বাসিন্দারা কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারলে কবিগুরুর সেবাধর্মও বাস্তব রূপ পাবে।