বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমা সোশ্যাল ফরেস্টির রেঞ্জার প্রদীপ গিরি বলেন, জখম ব্যক্তির নাম সনাতন সরকার। তাঁর বাড়ি চন্দ্রকোণা থানার বরারিতে। হাতিগুলি পুড়শুড়ি ও সাঁতিতেঁতুল এলাকায় রয়েছে। আমরা হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখছি। ক্ষতি পূরণের বিষয়টিও বনদপ্তর দেখবে।
উল্লেখ্য, চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের গড়বেতা ও রোড চন্দ্রকোণা থানা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে হাতির উপদ্রব দেখা গেলেও চন্দ্রকোণা-১ ব্লকে সাধারণত হাতি ঢুকতে দেখা যায় না। পুড়শুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তথা মাংরুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিকাশ ঘোষ বলেন, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ ঘুম থেকে দরজা খুলতেই দেখি, দু’টি দাঁতাল গেট থেকে ১৫-২০ফুট দূরে দাঁড়িয়ে।
সাঁতিতেঁতুল গ্রামের এক গৃহবধূ টুম্পা ঘোষ মণ্ডল বলেন, সকালের পর থেকে আমাদের গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের পাশে একটি ঝোপে হাতি দু’টি আশ্রয় নেয়। পাশেই স্কুলের ও একটি ক্লাবের পুজো ছিল। সেখানে কোনওরকমে ভয়ে ভয়ে পুরোহিত পুজো করেছেন। ঢাক তো দূরের কথা, শাঁখ পর্যন্ত ভয়ে কেউ বাজাতে পারেননি। জোরে আওয়াজ হলেই হাতিগুলি অবস্থান পরিবর্তন করছিল।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিগুলি চন্দ্রকোণার আঁধারনয়ন বিট থেকে দলছুট হয়ে বসনছড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা দিয়ে ক্ষীরপাই-আরামবাগ রাস্তা পেরিয়ে মাংরুল গ্রামপঞ্চায়েতে এলাকায় প্রবেশ করে। এদিন সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সনাতনবাবু হাতির সামনা সামনি চলে আসেন। একটি হাতি তাঁকে শুঁড়ে করে ঠেলে দেয়। তিনি কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন।
এদিকে, এদিন সকাল থেকেই হাতি দেখার জন্য দূরদূরান্তের গ্রাম থেকে মানুষজন সাঁতিতেঁতুলে গ্রামে ভিড় করেন। বন দপ্তরের কর্মীরাও উপস্থিত হন। সন্ধ্যার পর হাতিগুলি তাড়ানোর কাজ শুরু হয়।