বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে জঙ্গল ঘেরা একটি ঘরে ওই ব্যক্তি থাকতেন। বছর তিনেক আগে দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী অর্চনা মণ্ডল তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সাহেবনগর বাসস্টপে একটি চায়ের দোকান করে অর্চনাদেবী সংসার চালান। প্রিয়ব্রতবাবুর প্রথম পক্ষের বড় ছেলে শুভঙ্কর মণ্ডল কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকেন। ওই বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছোট ছেলে দীপঙ্কর মণ্ডল ঠাকুমার সঙ্গে থাকে। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রিয়ব্রতবাবু আরও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন তাঁকে জঙ্গলে ঘেরা বাড়িতে আটকে রাখেন। ছোট ছেলে মাঝেমধ্যে জানালা দিয়ে খাবার দিয়ে আসত বলে স্থানীয়রা জানান। তাছাড়া অন্য সময় কেউ তাঁর খোঁজ করত না। কিছুদিন আগে ওই এলাকায় একটি মাথার খুলি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার প্রিয়ব্রতবাবুর বড় ছেলে শুভঙ্কর বাড়ি ফেরেন। এদিন সকালে বাবার খোঁজ নিতে তিনি ওই বাড়িতে যান। সেখানে বাবাকে ডাকাডাকি করলেও সাড়া পাননি। তখন ঘুলঘুলি ভেঙে শুভঙ্কর ও তাঁর বন্ধু ঘরে ঢুকে লক্ষ্য করেন, বাবা কোথাও নেই। ঘরে কিছু হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এই খবর বাইরে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। পুলিস হাড়গোড় ও মাথার খুলিটি সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে আসে।
শুভঙ্কর বলেন, শনিবার বাড়ি ফিরে বাবার খোঁজ করি। এদিন সকালে বাবাকে ওই অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি বলেন বাবা ভাইকে দেখতে পারত না, মারধর করত। ভাই ভয়ে বাবাকে জানালা দিয়ে খাবার দিত। ওই জঙ্গলে ঘেরা বাড়ি থেকে ৫০-১০০মিটারের মধ্যে অনেক বাড়ি থাকলেও কেউ কেন কোনও গন্ধ পেল না পুলিস সেই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে। আবার ওই খুলি যদি প্রিয়ব্রতবাবুর হয় তাহলে বন্ধ ঘর থেকে কি করে তা বাইরে এল সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিসকে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিস জানিয়েছে, হাড়গোড় ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। হাড়গোড়গুলি প্রিয়ব্রতবাবুর কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।