বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বয়স ১৬ বছর। সে বর্তমানে স্থানীয় ছান্দ্রা হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এদিন পুলিস সিভিক ভলান্টিয়ার সহ নববধূকে আরামবাগ থানায় নিয়ে আসে। দুই পরিবারের সদস্যরাও থানায় আসেন। সেখান থেকেই চাইল্ড লাইন, প্যারা লিগ্যাল ভলান্টিয়ার ও পুলিসের সদস্যরা নাবালিকা ওই নববধূকে উত্তরপাড়ার হোমে নিয়ে যান। এদিন আরামবাগ থানায় ওই ‘নব দম্পতি’ কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাছাড়া দুই পরিবারের সদস্যদেরও থানা চত্বরে কাঁদতে দেখা যায়। নাবালিকার মা বলেন, ছেলে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করে বলে মেয়ের সুখের কথা ভেবে বিয়ে দিয়েছিলাম। তবে ভুলই হয়েছে।
এই ঘটনায় অবশ্য সিভিক ভলান্টিয়ারের এক দাদাও আফশোস করেছেন। তিনি বলেন, বিয়ের আগেই যদি কেউ ভুল ধরাত তাহলে ভালো হতো। এখন এইসব হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন।
আরামবাগের ব্লক সমাজকল্যাণ আধিকারিক রমেশ সর্দার বলেন, ওই নাবালিকা যাতে ১৮বছর বয়সের আগে সংসারিক জীবনে না জড়িয়ে যায় সেই উদ্দেশ্যে চাইল্ড লাইন উত্তরপাড়া হোমে নিয়ে গিয়েছে। নাবালিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে হাজির করানোর নিয়ম রয়েছে। সেখানে নাবালিকার বাবাকে যেতে বলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের তরফে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
আরামবাগের এসডিপিও কৃশানু রায় বলেন, মেয়ের বাড়ি দুঃস্থ বলেই বিয়ের আয়োজন করেছিল বলে শুনেছি। তবে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তদন্ত করা হবে।