বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সর্বত্র বাগদেবীর আরাধনা হয়। তবে ঝালদা শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে পাড়ার সূত্রধর সম্প্রদায়ের লোকজন বিশ্বকর্মা পুজোয় মাতেন। প্রায় শতাধিক বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে। ওই পাড়ায় এই সময় একাধিক সরস্বতী পুজো হলেও অসময়ের বিশ্বকর্মা পুজোকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনা অন্যমাত্রা পায়।
ওই এলাকার বাসিন্দা এবং পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বৃদ্ধ গিরিধারী সূত্রধর, সুনীল সূত্রধর, বাঘেম্বর সূত্রধর বলেন, ঠিক কোন বছর থেকে এই পুজো শুরু হয়েছে তা জানা নেই। তবে কম করে শতাধিক বছরের পুরনো এই পুজো। প্রথমে ওই এলাকায় অন্যত্র হলেও গত প্রায় সাত বছর ধরে জেলেপাড়ার বিশ্বকর্মা মন্দিরেই এই পুজো হয়ে আসছে। ভাদ্রমাসের যে সময় বিশ্বকর্মা পুজো হয়, সেই সময় এলাকার সূত্রধর সম্প্রদায়ের মানুষ মূর্তি তৈরির কাজে বাড়ির বাইরে থাকেন। কেউ কেউ ভিন রাজ্যেও থাকেন। বছরের অধিকাংশ সময় সূত্রধর সম্প্রদায়ের শিল্পীরা মূর্তি তৈরির কাজে অন্যত্র থাকলেও সরস্বতী পুজোর সময় বাড়িতেই থাকেন। তাই শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতেই আমরা বিশ্বকর্মা পুজো করে আসছি। বাইরে থেকে কোনও চাঁদা করা হয় না। সূত্রধর সম্প্রদায়ের সবার চেষ্টাতেই এই পুজো হয়।
গিরিধারীবাবু আরও বলেন, অন্যান্য বছর তিনদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তবে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আলোকসজ্জা ছাড়া অন্যান্য অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
ওই এলাকার বাগদি পাড়া, বৈষ্ণব পাড়া, আনন্দবাজার এলাকা সহ ঝালদা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই পুজোয় ভিড় জমান। ঝালদা শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অসময়ের এই বিশ্বকর্মা পুজোকে ঘিরে উন্মাদনাটাই আলদা। আমরা অনেকেই বাগদেবীর আরধানার পাশাপাশি বিশ্বকর্মা পুজোর উৎসবেও শামিল হই। গোটা ঝালদা শহরে এসময় এই একটি মাত্র বিশ্বকর্মা পুজো হয়।
স্থানীয় ও সূত্রধর সম্প্রদায় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদা শহর ছাড়াও পুরুলিয়া শহর এবং বাঘমুণ্ডিতেও এসময় বিশ্বকর্মা পুজো করেন সূত্রধর সম্প্রদায়ের মানুষরা।