পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির পিছনে একটি খড়ের গাদায় গলার নলি কাটা অবস্থায় গৃহবধূ মৌমিতার দেহ পাওয়া যায়। এরপর পুলিস ঘটনার তদন্তে নামে। খড়্গপুর থেকে পুলিস কুকুর এনে তদন্ত শুরু হয়। এরপরই উঠে আসে রোমহর্ষক খুনের ঘটনা।
খেজুরি থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, অপরেশ খুনের কথা স্বীকার করেছে। তবে অপরেশ শুধু একা নয়, তার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত ছিল। কারণ একার পক্ষে এভাবে খুন করা সম্ভব নয়। আমরা বিস্তারিত জানতে ধৃতদের হেফাজতে নিয়েছি। ঘটনার পুননির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, দ্রুত এই ঘটনার কিনারা করা যাবে।
পুলিস জানতে পেরেছে, বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবিতে মৌমিতার উপর নির্যাতন চলত। তার উপর অপরেশ ইদানীং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মৌমিতা বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় বাড়িতে অশান্তি হতো। এরপরই অপরেশ স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করে বলে পুলিসের দাবি। খুনের পর স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে বলেও থানায় অভিযোগ জানাতে যায় অপরেশ। কিন্তু, পরবর্তীকালে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর আসল ঘটনাটি সামনে আসে। পুলিস জানতে পারে, অপরেশ প্রত্যক্ষভাবে খুনের ঘটনায় জড়িত।
পুলিসি জেরায় অপরেশ স্বীকার করে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ সে মৌমিতাকে গলার নলি কেটে খুনের পর তার দেহ খড়ের গাদার পিছনে ফেলে দেয়। আর রক্তমাখা জামাকাপড় বন্ধু সুমনের বাড়িতে রেখে আসে। তবে, এই ঘটনায় অপরেশের বাবা তরুণ ও মা মাধুরীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল পাত্র বলেন, আমাদের এলাকায় এমন নৃশংস খুনের ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। সবকিছু জানার পর আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি। আমাদের দাবি, খুনের ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।