পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোয় প্রতি বছর ফুলের চাহিদা তুঙ্গে থাকে। সেই কারণে দুই মেদিনীপুর ও হাওড়ার বহু ফুলচাষি কুইন্টাল কুইন্টাল ফুল নিয়ে এদিন কোলাঘাট স্টেশন বাজার, দেউলিয়া বাজার ও পাঁশকুড়ার ফুল বাজারগুলিতে হাজির হয়েছিলেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় ফুলের জোগান বেড়ে যাওয়ায় ফুলের দর শুক্রবারের থেকেও কমে যায়। ফলে হতাশ হয়ে কম টাকায় ফুল বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন চাষিরা। তবে চাষিদের কষ্টে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছে গোলাপের দর।
শুক্রবার বাজারে গাঁদাফুল ২০ ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এদিন সেখানে গাঁদাফুল বিক্রি হয়েছে মাত্র ১০ ১২টাকা কেজিতে। ৩৫থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চেরিফুল এদিন ২৫থেকে ৩০টাকা কেজিতে, ৩৫থেকে ৪০টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া রক্ত গাঁদা এদিন ১০থেকে ১২টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ৮০থেকে ১০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া রজনিগন্ধা ফুল এদিন ৬০থেকে ৭০টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন দ্বিগুণেরও বেশি দরে গোলাপ বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য দিন ২টাকা পিস দরে বিক্রি হওয়া লাল গোলাপ এদিন পাঁচ টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে। হলুদ ও সাদা গোলাপ এদিন ৬টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে। গোলাপি রঙের গোলাপ ৮টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে।
বেঙ্গালুরুর ডাচ গোলাপের চাহিদাও এখন তুঙ্গে। হাত খানেক লম্বা ডাঁটা যুক্ত ডাচ গোলাপ এদিন ১৫টাকা পিস দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে।
সকলের আশা, আগামী সপ্তাহে ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে গোলাপের চাহিদা আরও বাড়বে। আগাম অনুমান করেই পাঁশকুড়ার ফুল রাখার হিমঘরে চাষিরা দু’লক্ষাধিক গোলাপ জমা করেছেন।
পাঁশকুড়া ব্লকের বাজু গ্রামের বাসিন্দা রঘুনাথ দাস, অন্যান্য বছর সরস্বতী পুজোয় বাজারে ফুলের দাম ভালো থাকে। সেই আশায় প্রচুর চাষি এদিন বাজারে ফুল এনেছিলেন। কিন্তু, ফুলের দাম এদিন অন্যান্য দিনের থেকে অনেক কম ছিল। শুধুমাত্র গোলাপের দাম ও চাহিদা অনেকটাই বেশি ছিল। যেসব চাষি গোলাপ এনেছিলেন তাঁদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটেছে। কিন্তু, অন্যান্য চাষিরা কম দামে ফুল বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন।
সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, গরম পড়ায় ফুলের উৎপাদন আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। পুজোর জন্য দাম বাড়বে আশা করে প্রচুর চাষি এদিন ফুল নিয়ে বাজারে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, জোগান বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে গিয়েছে।