শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এদিকে, বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের সমতলের জনজীবন বিপর্যস্ত। দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে গরমের দাপট কমলেও বৃষ্টিতে নাকাল বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির জেরে পুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পুজোর বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে, তিস্তা, মহানন্দা সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়েছে। টানা কিছুদিন অসহ্য গরমের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার রাত থেকে দার্জিলিং পাহাড়ে বৃষ্টির তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হয়। এতেই ধসে বিধ্বস্ত দার্জিলিং পাহাড়। সকালে শহরে শ্রমদপ্তরের অফিসের কাছে পাথর-মাটি ধসে পড়ে রাস্তায়। ফলে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে রাস্তাটি। একাধিক জায়গায় এমন ধস নামে। দার্জিলিংয়ের মহকুমা শাসক রিচার্ড লেপচা বলেন, বৃষ্টির জেরে এই পরিস্থিতি। দিনভর অপারেশন চালিয়ে অধিকাংশ জায়গা থেকে ওসব সরানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৫ মিমি। মিরিক ও কার্শিয়াংয়ে বৃষ্টির পরিমাণ যথাক্রমে ৩৪ ও ৪৮ মিমি। দার্জিলিং ও কার্শিয়াং শহরের ১০টি ওয়ার্ড এবং কার্শিয়াং, রংলিরংলিয়াট ও পুলবাজার এই তিনটি ব্লকের ২২টি গ্রাম ধসে বিধ্বস্ত। দার্জিলিং শহরে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কার্শিয়াং শহরে তিনটি, পুলবাজারে পাঁচটি ও রংলিরংলিয়টে একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনও বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়েছে। কোথায় বাড়ি খাদের কিনারে ঝুলছে। কিছু রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি আধিকারিকরা জানান, ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। কয়েকটি পরিবার নিরাপদ জায়গায় সরে গিয়েছে। কালিম্পংয়েও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৭ মিমি। যার জেরে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেরই ছ’টি জায়গায় ধস নামে। মিল্লি, বিরিকধারা, সেলফিধারা, শ্বেতীঝোরাও অল্পবিস্তর ধস নামে। কালিম্পং ও সিকিমের লাইফ লাইন দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ধস সরানোর পরও রাস্তাটি বিপজ্জনক অবস্থায়। গাড়ি চালকদের বিকল্প রাস্তাগুলি ব্যবহার করতে প্রশাসন আহ্বান জানিয়েছে। যদিও ধসের মাটি, পাথর, নুড়ি, গাছ সরিয়ে রাস্তাটি খোলা হয়েছে। পুজোর মুখে এমন পরিস্থিতি নিয়ে সমতল, দুই পাহাড়ের বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। তাঁদের বক্তব্য, এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে পাহাড় নির্ভর পর্যটন ব্যবসাও মুখ থুবড়ে পড়বে। শিলিগুড়ির শেঠ শ্রীলাল মার্কেটে বৃষ্টি মাথায় কেনাকেটা। নিজস্ব চিত্র